আর্কাইভ থেকে বিএনপি

লকডাউনে শ্রমিকদের মাসিক অনুদান দিতে হবে: মির্জা ফখরুল

করোনাকালে শুধু মালিকদের দিলেই হবে না, শুধু ব্যাংক থেকে ঋণ দিলেই হবে না। এই কোভিডকালে অবশ্যই শ্রমিকদের ভর্তুকি দিতে হবে। প্রত্যেক শ্রমিককে অবশ্যই সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ সহযোগিতা করতে হবে। এই মুহূর্তে এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় দাবি। বললেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগী।

আজ মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে শ্রমিক দলের নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জাফরুল হাসানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এ দাবি জানান। 

এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই দাবি আজকে করছি যে দেশে ইনফরমাল সেক্টরে যত শ্রমিক আছেন, আমাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোতে যত শ্রমিক আছেন, অন্যান্য কলকারখানার সঙ্গে যেসব শ্রমিক যুক্ত আছেন, তাঁদের প্রত্যেককে মাসের একটা অনুদান অবশ্যই দিতে হবে, যেটা অন্যান্যদের দেওয়া হয়েছে।’

তিনি  আরও বলেন, ‘আমরা এখন কেন জানি না, শুধু আনুষ্ঠানিকতায় চলে গেছি, দোয়া করছি, মিলাদ করছি, স্মরণসভা করছি। সংগঠন গড়ে না তুললে আন্দোলন কীভাবে হবে?’

মির্জা বলেন, ‌‌‘সরকার পরিবর্তন করতে হলে, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে সরাতে হলে প্রধান যে দুটি শক্তি দরকার, একটা হচ্ছে ছাত্রসংগঠন, আরেকটি শ্রমিকসংগঠন। সেই সংগঠন তো আমরা সেভাবে গড়ে তুলতে পারছি না। সে কারণে আমি অনুরোধ করব, আসুন আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করি, কথা বলি, কীভাবে সংগঠনগুলোকে আবার গড়ে তোলা যায়, সেই চেষ্টা করি।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আমাদের অনেক কষ্ট, অনেক দুঃসময়। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। আমাদের প্রধান, যিনি আমাদের নেতৃত্ব দেন, যাঁর কথায় আমরা অনুপ্রাণিত হই, সেই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তিন বছর ধরে কারাগারে। এটা ভাবা যায় না, কল্পনা করা যায় না। আজকে যিনি আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব, তিনি আট হাজার মাইল দূরে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা। নতুন করে আবার এই কয়েক দিনে ২০ হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’

শ্রমিকনেতা জাফরুল হাসানের কথা স্মরণ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বারবার তাঁর কথা মনে পড়ে এ জন্য যে সত্যিকার অর্থে আজকাল এই ধরনের নেতা আর কোথায়? এক নজরুল ভাই (নজরুল ইসলাম খান) আছেন। বাতি জ্বালিয়ে আর তো আমি দেখতে পাই না।’

শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন