আর্কাইভ থেকে এশিয়া

অর্থ নিয়েও বিক্ষোভকারীদের লাশ দিচ্ছে না মিয়ানমারের জান্তা

এবার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতদের মরদেহ আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। আইনজীবী সহায়তা সমিতি এএপিপি জানায়, অর্থের বিনিময়ে নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে পাঠাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে পরিবার ও স্বজনদের কাছ থেকে চার্জ হিসেবে সামরিক বাহিনী ৮৫ ডলার পর্যন্ত নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার সংশ্লিষ্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্বৃতি দিয়ে এ খবর জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। রাজনৈতিক বন্দিদের পক্ষে এএপিপি জানিয়েছে, গেল শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে বাগো শহরে রাতভর অভিযান চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের নির্বিচার গুলিতে নিহত হয়েছে অন্তত ৮২ জন। নিহত সবার মরদেহ নিতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবার বা স্থানীয়রা। মরদেহগুলোর বেশিরভাগই নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে বন্দুকের পাশাপাশি মেশিনগানের গুলি, গ্রেনেড এবং মর্টার ব্যবহার করেছে জান্তা বাহিনী।

অভিযোগ উঠেছে, মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ করতে পারে আন্দোলনকারীরা। এ কারণেই মরদেহগুলো পরিবার এবং স্বজনদের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। যদিও এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি মিয়ানমারের জান্তা প্রশাসন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিএনএনকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শুক্রবারের অভিযানের পর থেকে আশপাশের গ্রামে পালিয়েছে অনেক বাসিন্দা। কেটে দেওয়া হয়েছে এলাকার ইন্টারনেট সংযোগও। বাসিন্দাদের আটকে করতে এখনো অনুসন্ধান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী।

বাগো ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ফেসবুক পোস্ট অনুসারে, শুক্রবারের অভিযানে যারা নিহত হয়েছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করতে পরিবার ও স্বজনদের কাছ থেকে ৮৫ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার ১৯০ টাকা) করে নিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। এ তথ্য মিলে রেডিও ফ্রি এশিয়াস বার্মিজ সার্ভিসের প্রতিবেদনের সঙ্গে। তবে স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত যাচাই করতে পারেনি সিএনএন।

এএপিপির তথ্য অনুযায়ী, গেল এক ফেব্রুয়ারি জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করার পর থেকে চলমান বিক্ষোভে নিহত হয়েছে সাত শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে নারী ও শিশুও আছে। তিন হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী বন্দি রয়েছে। আন্দোলন থামাতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে জান্তা সরকার।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন