আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ফরিদপুরে ২ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি হত্যা

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফরিদপুরে দুই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উভয় পরিবারের দাবি, তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
 
সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর্ব এলাকার শিবপুর গ্রামে ও রাতে নগরকান্দায় এ ঘটনা ঘটে।
 
জানা যায়, চার মাস আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর্ব এলাকার শিবপুর গ্রামের রুবেল শেখের সঙ্গে দুর্গাপুর গ্রামের শান্ত মিয়ার মেয়ে শারমিনের (১৯) বিয়ে হয়। সোমবার দুপুর ১টার দিকে শারমিনকে তার কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন পরিবারের লোকজন। পরে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
নিহত শারমিনের শ্বশুর আইউব আলী বলেন, পারিবারিক কোনো কলহ ছিল না। তবে, সকালে কিস্তির টাকা নিয়ে আমার ছেলের সঙ্গে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল।
 
বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এদিকে, ফরিদপুরের নগরকান্দায় উপজেলার পুরাপাড়া গ্রামের ইরাক প্রবাসী আক্কাস মিয়ার স্ত্রী সারমিন আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১১ এপ্রিল) রাতে পার্শ্ববর্তী মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
 
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে ইরাক প্রবাসী আক্কাস মিয়ার সঙ্গে যশোর সদর উপজেলার সাড়াপোল গ্রামের তসলিম মিয়ার কন্যা সারমিনের গত ৮ মাস আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে কয়েক দিন আগে সারমিন তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস শুরু করেন। মারা যাওয়ার আগের দিন রাতে স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে ঝগড়া হয়। পর দিন ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন তাকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
 
সারমিনের বড় ভাই শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তার বোনকে খুন করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
 
শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন