আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

এভারেস্টেও করোনা!

অ্যান্টার্কটিকার পর এবার করোনাভাইরাস পৌঁছে গেছে হিমালয় পর্বতমালায়ও। সম্প্রতি করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে যাওয়া এক অভিযাত্রী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে চিকিৎসকরা।

নেপালের স্থানীয় কর্মকর্তাদের উদ্বৃতি দিয়ে ভ্রমণ ম্যাগাজিন দ্য আউটসাইড ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকা জানায়, চলতি মাসে ১৭ হাজার ৬শ’ ফুটের বেশি উচ্চতায় থাকা বেস ক্যাম্পে করোনায় আক্রান্ত অভিযাত্রী ছিল। কোভিডের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় তিন পর্বতারোহীকে হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে অন্তত একজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।

করোনা মহামারির কারণে গেল বছর এভারেস্টে আরোহন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বছর আবার খোলার পর এখন পর্যন্ত ৩৭০ জন আরোহীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এভারেস্টে উঠার জন্য বেসক্যাম্পে আরোহীদের প্রায় দুইমাস বাধ্যতামূলকভাবে অবস্থান করতে হয়। এতে তাদের শরীর উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে। একজনের শরীরে করোনা পাওয়ার পর সতর্ক থাকছে কর্মকর্তারা। যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারে বাকি আরোহীরা।

করোনার সংক্রমণ রোধ করতে মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে নেপাল সরকার। এছাড়া ১৭ হাজার ৬শ’ ফুট উচ্চতায় একটি অস্থায়ী মেডিক্যাল ইউনিটও স্থাপন করা হয়েছে।

নেপালের সবচেয়ে বড় এভারেস্ট অভিযান অপারেটরের চেয়ারম্যান মিংমা শেরপা বলেন, করোনা ধরা পড়লেও অভিযান বাতিল করবে না ওই ক্যাম্পের বাকি আরোহীরা। আরোহন অব্যাহত রাখবে তারা। বেজক্যাম্পে পৌঁছার পর রণে ভঙ্গ দেওয়া অর্থহীন বলে জানান তিনি।

নেপালে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর গেল বছরের ২৪ মার্চ সীমান্ত বন্ধসহ এভারেস্ট আরোহণে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। পর্বতারোহণে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয় চলতি বছরের মার্চে।

নেপালের অভিবাসন বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত নেপালে পৌঁছেছে এভারেস্টকেন্দ্রিক প্রায় ১৫ হাজার ভ্রমণকারী। এর মধ্যে ৩৬টি দলে ৩৩৮ জনকে পর্বতারোহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় পৃথিবীর প্রত্যন্ত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন