আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভেজাল ট্যাং-সফট ড্রিংকস তৈরি : ৫ লাখ টাকা জরিমানা

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হলেও নেই ল্যাব, ক্যামিস্ট এমনকি টেকনিশিয়ানও। এক রকম হাওয়ার উপর চলছিল শাওন কনজ্যুমার ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড।

সেখানে তৈরি হচ্ছিল ১০০-এর উপর নানা ধরনের কোমল পানীয় ও ট্যাং। যার অনেকগুলো তৈরির অনুমোদন নেই। আর অবৈধভাবে তৈরি ও বাজারজাতকরণে ব্যবহৃত কাঁচামালও মজুদ করা হয় নোংরা পরিবেশে টয়লেটে।

আজ রোববার (২৫ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টা থেকে বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত রাজধানীর মাতুয়াইলের শাওন কনজ্যুমার ফুড প্রডাক্ট লি. নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ভেজাল ট্যাং, মেয়াদোত্তীর্ণ সফট ড্রিংকস বিক্রির অভিযোগ ও সত্যতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক কফিল উদ্দিনকে (৪০) ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের জেল দেন র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া এক মাসের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সব বৈধতা অর্জন করতে এবং ল্যাব, টেকনিশিয়ান ক্যামিস্ট নিয়োগ করতে মুচলেকা নেয়া হয় মালিকের কাছ থেকে। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হবে। নিয়মিত মামলা দেয়া হবে এবং প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানান র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।

বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে র‌্যাব-১০-এর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তিনি।

ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, মাতুয়াইলের খান বাড়ি চৌরাস্তা, পূর্ব গোবিন্দপুরে শাওন কনজ্যুমার ফুড প্রডাক্ট লি. অবস্থিত। এখানে লোকচক্ষুর অন্তরালে ভেজাল ট্যাং তৈরি ও মেয়াদোত্তীর্ণ সফট ড্রিংক বিক্রি করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান হলেও কারবার সব ভেজাল। কমপক্ষে ১০০-এর বেশি লিকুইড খাদ্যপণ্য তৈরি করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। যার অধিকাংশই তৈরি ও বাজারজাত করণে অনুমোদন নেই। আর এসব তৈরিতে অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে কাঁচামাল। সেই কাঁচামাল লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে তা মজুদ করা হয়েছে টয়লেটে। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ল্যাব নেই, ক্যামিস্ট টেকনিশিয়ান নেই।

ম্যাজিস্ট্রেট জানান, এর আগেও প্রতিষ্ঠানটিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে, কিন্তু পুনরায় একই ভেজাল ব্যবসায় নেমেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিপুল পরিমাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং, মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য, মেয়াদোত্তীর্ণ গ্লুকোজ, মেয়াদোত্তীর্ণ লেভেলবিহীন ফ্লেভার জব্দ করা হয়। টয়লেটে খাদ্যদ্রব্য মজুদ অবস্থায় পাওয়া গেছে যা নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী অপরাধ। আবার অনেক তৈরি করা পণ্যের অনুমোদন নেই।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন