আর্কাইভ থেকে অপরাধ

গুলশানে তরুণী মরদেহ উদ্ধার, যা বললেন পুলিশ

গুলশানে ১ লাখ টাকা ভাড়ায় ফ্ল্যাটে থাকতেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়া। তার ফ্ল্যাটে নিয়মিত যাতায়াত ছিল বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের। ওই প্ল্যাট থেকে গেলো সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর মোসারাত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার হয়।

এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে শীর্ষ স্থানীয় ওই ব্যবসায়ী গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের সম্পর্ক দুই বছরের। ওই ব্যবসায়ী এক বছর মেয়েটিকে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখেন। গত মার্চে গুলশানের এই ফ্ল্যাটে ওঠেন মেয়েটি। গত ২৩শে এপ্রিল ইফতার পার্টি হয় ওই বাসায়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন।

ঘটনার পর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসার তিন তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। ওই রাতেই মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার জানান, মুনিয়ার বড় বোনের অভিযোগ, ভিকটিমের সঙ্গে ওই শিল্প গ্রুপের এমডির দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচয় এবং সম্পর্ক ছিল।

সুদীপ আরও জানান, যদি সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় যে, অভিযুক্ত দোষী, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে বলেও জানান তিনি।

মুনিয়া কুমিল্লা শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমানের মেয়ে। তার পরিবার কুমিল্লায় থাকলেও মুনিয়া একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন