আর্কাইভ থেকে ঢালিউড

মরণোত্তর দেহ দান করলেন এস আই টুটুল

গানের সব মাধ্যমেই সাফল্যের দ্যুতি ছড়িয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুল। দেশের অডিও বাজার যখন রমরমা, তখন দাপুটে অবস্থান ছিল তার। শ্রোতাদের কাছে তার গানের আলাদা গ্রহণযোগ্যতা ছিল। তার সুর-সঙ্গীতে অন্য শিল্পীদের গাওয়া গানও হয়েছে জনপ্রিয়। আজ ২৮ এপ্রিল জনপ্রিয় এই সঙ্গীত তারকার জন্মদিন।  

রাত ১২টা ১ মিনিটে কেক কাটার মধ্য দিয়ে এস আই টুটুলের জীবনের বিশেষ দিনের শুরু হয়। তার স্ত্রী অভিনেত্রী তানিয়া, মেয়ে আয়াত এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গান বাংলা টেলিভিশনের পক্ষ থেকে বিশেষ চমক দেন গুণী এই শিল্পীকে। ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় শান্তিনগরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সদস্যদের সঙ্গে ইফতার করবেন তিনি। সেখানেই রক্তদান করবেন বলে জানান এই শিল্পী। 

জীবনের এই বিশেষ মুহূর্তে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর জানিয়েছেন শ্রোতাপ্রিয় এই শিল্পী। তিনি জানান, আমেরিকায় মরণোত্তর দেহ দান করেছেন। যদি আমেরিকায় তার মৃত্যু হয় তবে চোখ থেকে শুরু করে শরীরের সব প্রয়োজনীয় অংশ তারা নিয়ে যাবে। আর যদি বাংলাদেশে মারা যান তাহলেও যাতে একই কাজ করা হয় সেটার জন্য উপায় খুঁজছেন। 

এ সম্পর্কে এস আই টুটুল বলেন, জীবনটাকে মানবকল্যাণে উৎসর্গ করে যেতে চাই। মরার পর দেহের অপ্রয়োজনীয় অংশ দিয়ে একটা সমাধি হলেই চলবে। সেটা আমার পরিবার, ছেলে-মেয়েরা দেখবে। 

নাটকের ব্র্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও সিনেমার গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এস আই টুটুল। শিগগিরই নিজের এককসহ কিছু গান প্রকাশ করবেন বলেও জানান এই শিল্পী। 

প্রসঙ্গত, এস আই টুটুলের জন্ম কুষ্টিয়ায়। তার আসল নাম এ বি এম শহীদুল ইসলাম। ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা করেছেন টুটুল। বড় ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন ব্যান্ডসঙ্গীতের কিংবদন্তি তারকা আইয়ুব বাচ্চু। নব্বই দশকে আইয়ুব বাচ্চুর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান তিনি৷ ‘এলআরবি’ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যও ছিলেন টুটুল। 

২০০৫ সালে এস আই টুটুল নিজেই একটি ব্যান্ড গড়ে তোলেন। যার নাম ‘ফেস টু ফেস’। ২০১১ সালে ব্যান্ডটির নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘ধ্রুবতারা’। এস আই টুটুল চারটি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এগুলো হচ্ছে- প্রশ্ন, শূন্য, বুকের শহরে তুমি ও জলের ভেতর জলের চলন।

তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- কেউ প্রেম করে কেই প্রেমে পড়ে, যায় দিন যায় একাকী, নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে আছো তুমি, হৃদয়ে লিখেছি তোমারই নাম, নজর না লাগে যেন, বহু পথ খুঁজে নদী, ও কারিগর ও সুয়া উড়িলো রে ইত্যাদি।

২০০৭ সালে ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমার সঙ্গীত পরিচালনা করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এস আই টুটুল। ২০১০ সালে সেরা প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে তিনি আবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৫ সালে ‘বাপজানের বায়স্কোপ’ সিনেমার জন্য সেরা সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক হিসেবে আরও দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন