আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

পোলার্ডের বিধ্বংসী ইনিংসে নাটকীয় জয় মুম্বাইয়ের

আম্বাতি রাইডু, মঈন আলী ও ফাফ ডু প্লেসিসের ব্যাটিং তাণ্ডবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২১৮ রানের পাহাড় গড়ে চেন্নাই সুপার কিংস। তবে ধোনির দলের এই বিশাল রান ফ্যাকাসে হয়ে পড়ল কাইরন পোলার্ডের ব্যাটে। ইনিংসের শেষ বলে নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। 

শনিবার (১ মে) দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ধোনির চেন্নাই। প্রথম ওভারেই ওপেনার ঋতুরাজ গায়কওয়াদের উইকেট হারায় তারা। তবে তিনে ব্যাটিংয়ে নামা মঈন আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৬১ বলে ১০৮ রানের জুটি গড়নে ফাফ ডু প্লেসিস।

চেন্নাইয়ের স্কোর বোর্ডে তখন এক উইকেটে ১২২। তবে ৪ রান যোগ করতেই দলটি হারায় তিন উইকেট। ৩৬ বলে পাঁচটি চার ও পাঁচ ছক্কায় ৫৮ রান করেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। ২৮ বলে ডু প্লেসিসর ব্যাট থেকে আসে ৫০ রান। তবে ক্যারিয়ারের ২০০তম ম্যাচ খেলা সুরেশ রায়না ফেরেন মাত্র ২ রান করে।

তবে ইনিংসের শেষ দিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান আম্বাতি রাইডু। চতুর্থ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ৫৬ বলে ১০২ রানের জুটি গড়েন রাইডু। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২০ বলে ফিফটি তুলে নেয় রাইডু। ২৭ বলে চারটি বাউন্ডারি ও ৭টি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৭২ রানে। আর ২২ বলে ২২ রান করেন ভারতীয় অলরাউন্ডার জাদেজা। এতেই ২১৯ রান বিশাল স্কোর দাঁড় করায় চেন্নাই।

এই বিশাল টার্গেটকে তাড়া করতে নামেন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কুইন্টন ডি কক। তাদের ৭১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে থাকে দলটি। কিন্তু দলীয় ১০ রানের মধ্যে রোহিত-কুইন্টন এবং সূর্যকুমার যাদব ফিরে গেলে চাপে পড়ে তারা। রোহিত ৩৫, যাদব ৩ এবং ডি কক করেন ৩৮ রান। 

চতুর্থ উইকেটে কুর্ণাল পান্ডিয়া এবং কাইরন পোলার্ডের মধ্যে ৮৯ রানের জুটিতে জমে উঠে ম্যাচ। কিন্তু ২৩ বলে ৩২ রান করা পান্ডিয়াকে সাজঘরের পথ দেখান স্যাম কুরান। দলীয় ১৭০ রানে ফেরেন তিনি। বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া এবং জেমস নিশামও। 

অপরপ্রান্তে অবিচল থাকা পোলার্ড বাজিমাত করলেন ব্যাট হাতে। ৩৪ বলে ৮৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে, দলকে উপহার দিলেন অবিশ্বাস্য এক জয়। তার পুরো ইনিংসে চার ছিলো ছয়টি এবং ছয় হাঁকান আটবার।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন