আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

দেশে দেশে প্রতিবাদ-সহিংসতার মধ্যে মে দিবস পালিত

শনিবার বিশ্বজুড়ে পালিত হয়েছে মহান মে দিবস। তবে প্রতিবাদ আর সহিংসতার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে বিভিন্ন দেশ। করোনার ছায়াঘেরা মে দিবসে দেশে দেশে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা।

শ্রমিক অধিকার আদায়ের দাবিতে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে বিক্ষোভ শুরু করে ইয়োলো ভেস্ট আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বিভিন্ন দোকান-পাটে।

তুরস্কের ইস্তাম্বুলে লকডাউনের মধ্যে শ্রমিক অধিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার দাবিতে বিক্ষোভ বের হয়। মে দিবসের বিক্ষোভে তাদের বাধা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জের পাশাপাশি ব্যাপক ধরপাকড় চালায় তারা। দুই শতাধিক আন্দোলকারীকে আটক করা হয়। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধের নির্দেশনা অমান্য করায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

শ্রমিক দিবসে বিক্ষোভ হয়েছে ব্রিটেনেও। কিল দ্য বিল শিরোনামে লন্ডনে বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দমনে পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানো নিয়ে প্রস্তাবিত একটি আইনের বিরুদ্ধে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ করছে জনগণ। বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে লন্ডনের রাস্তায় নামে কয়েক হাজার মানুষ।

বিক্ষুব্ধ জনগণ বলেন, আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না পুলিশ। অথচ তাদের কোনো জবাবদিহিতার আওতায় আনা হচ্ছে না। আমরা মনে করি, তাদের আর ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বেআইনি আচরণ করছে পুলিশ। সহিংসতা চালাচ্ছে। আমার মনে হয় আইনটি পাস করলে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে তারা। লঙ্ঘন হবে মানবাধিকার।

জার্মানিতেও করোনা মহামারিতে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সমাবেশ হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় স্পেনে। বিক্ষোভ হয়েছে রাশিয়াতেও।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন