আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

জোয়ারের পানিতে ভেসে উঠল মাটি চাপা দেয়া তিমি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে ভেসে উঠল বালি চাপা দেয়া তিমির মৃতদেহ।

রোববার (০২ মে) দুপুরে তিমির মৃতহের বালি সরে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে বালি সরে গিয়ে তিমিটি দৃশ্যমান হওয়ার পরপরই আরেকটি তিমির মৃতদেহ ভেসের আসার খবর প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরাসহ স্থানীয়ভাবে প্রচারিত হয়।

জানা যায়, সমুদ্র সৈকতের হিমছড়ি পয়েন্টে দুপুরে জোয়ারের পানিতে একটি তিমির মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। জোয়ারে পানি কমে গেলে তিমির মৃতদেহটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়। তবে তিমিটির লেজ ও মাথার অংশ পঁচে গিয়ে একেবারেই বিচ্ছিন্ন দেখতে পায় স্থানীয়রা। এসময় আশাপাশের এলাকায় উৎকট দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে আরেকটি তিমির মৃতদেহ ভেসে আসার খবরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা। তারা দেখতে পান, গত ২২ দিন আগে সৈকতে বালি চাপা দেয়া তিমিরই মৃতদেহ। জোয়ারের পানিতে বালি সরে যাওয়ায় তিমিটি দৃশ্যমান হয়ে উঠে। পরে এটি এক্সেভেটর দিয়ে বালি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, গত ৯ ও ১০ এপ্রিল দুটি মৃত তিমি ভেসে এসেছিল। যার মধ্যে একটি ভেসে এসেছিল দরিয়া নগর পয়েন্টে; আরেক হিমছড়ি পয়েন্টে। পরে দুটি তিমিই মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু গেল কয়েক দিন পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে গত ১০ এপ্রিল হিমছড়ি পয়েন্টে যে তিমিটি মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল সেটির মাটি সরে গিয়ে পুনরায় ভেসে উঠেছে। এখন ঘটনাস্থলে আরও গভীর করে গর্ত করে ভেসে উঠা তিমিটিকে পুনরায় মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এটি কোন নতুন তিমি নয়।

এর আগে গত ৯ ও ১০ এপ্রিল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে দুইটি তিমির মৃতদেহ। পরে সংশ্লিষ্টরা ময়নাতদন্তের পর সেগুলোর নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে। এখনো প্রতিবেদন হাতে না আসায় তিমিগুলোর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন