আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে: প্রধানমন্ত্রী

আগামী ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে। সব নৌযানের লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক করা উচিত। জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

বৃহস্পতিবার (৬ মে) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

অবকাঠামো ও জলযানের মধ্যে রয়েছে- বিআইডব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (দাদা ভাই)’, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেজ; বিআইডব্লিউটিসির দুইটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ এবং ‘এমভি আইভি রহমান’, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।

ক্ষমতাসীনরা বলছেন, এসব অবকাঠামো এবং জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ-সেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসঙ্গে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌ-পথের উন্নয়ন, উপকূলীয় এলাকার যাত্রী পরিবহন ও দক্ষ নৌকর্মী গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খননে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে ২০টি ড্রেজার এবং ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান প্রস্তুত করা হয়েছে। নৌপথ খনন ও নাব্যতা বজায় রাখার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৮টি ড্রেজার সংগ্রহ করা হয়। বর্তমানে ২০টি ড্রেজার বিআইডব্লিউটিএ’র বহরে যুক্ত হয়ে মোট ৪৫টি ড্রেজারের শক্তিশালী ইউনিট সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও সরকারের বর্তমান মেয়াদে ৩৫টি ড্রেজার সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন