আর্কাইভ থেকে এশিয়া

যুদ্ধের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন; জাতিসংঘ

ফিলিস্তিনের গাজায় টানা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এর পাল্টা জবাব হিসেবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে শতাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এ পরিস্থিতিতে ইসরায়েল যুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এক টুইটে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত জাতিসংঘের দূত বিশেষ টর ওয়েনিসল্যান্ড জানান, অবিলম্বে আগুন খেলা বন্ধ করুন। আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ডি-এ্যাসকেলেশনের দায়িত্ব নিতে হবে দুই পক্ষের নেতাদের।

তিনি আরো যোগ করেন, গাজায় যুদ্ধের ফলাফল ধ্বংসাত্মক এবং সাধারণ মানুষ তা ভোগ করছে। চারপাশে শান্তি পুনরুদ্ধার করতে কাজ করছে জাতিসংঘ। এখনই সহিংসতা বন্ধ করুন।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের রকেট হামলায় হামাসের একটি টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। এরপরই পাল্টা আক্রমণ চালায় ফিলিস্তিনি গ্রুপটি। ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিব লক্ষ্য করে অন্তত ১৩০টি মিসাইল হামলা চালিয়েছে তারা। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত এসব হামলা চালানো হয়।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্বৃতি দিয়ে আনাদোলু জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারা গেছে অন্তত ৩৬ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক। এর মধ্যে ১২ জন শিশু ও তিনজন নারী রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ২৩৩ জন। অপরদিকে, হামাসের কয়েক শ’ রকেট হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের আশখেলন শহরে শিশু ও নারীসহ নিহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন।

ইসরায়েল জানায়, সোমবার কমপক্ষে এক হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা। রকেট হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বেন গুরিওন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তেল আবিবের পাশেই অবস্থিত বিমানবন্দরটি।

বুধবার কয়েক মিনিটে হামাসের অন্তভূর্ক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে কয়েক ডজন বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দক্ষিণ সীমান্তে ট্যাংক বহর মোতায়েন করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এটি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নতুন ধাপ হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।

বিবিসি ও জেরুজালেম পোস্ট জানায়, আন্তর্জাতিক নিন্দা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনিদের আক্রমণ করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৪ সালে যুদ্ধের পর থেকে একে সবচেয়ে বড় হামলা বলা হচ্ছে।

ইহুদি উগ্রবাদীদের জেরুজালেম দখল দিবস উদযাপন এবং শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উচ্ছেদকে ঘিরে উত্তেজনার সূত্রপাত। এরপর আল-আকসা মসজিদের মুসল্লিদের ওপর কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আহত হয় কয়েক শ’ মুসল্লি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন