আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

দেশেই টিকা উৎপাদন হবে, সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো : প্রধানমন্ত্রী

দেশেই যাতে টিকা উৎপাদন করতে পারি সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। নিজেদের টিকা তৈরিতে কয়েক মাস সময় লাগবে। আমরা দেশের সব নাগরিককে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো, ইনশাআল্লাহ। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে এই রোগের টিকার আওতায় আনা হবে। কারণ, তার সরকার ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন সংগ্রহে একাধিক উৎসের সাথে যোগাযোগের পাশাপাশি এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের ব্যবস্থা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান অবস্থানে থেকেই স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে ঈদুল ফিতর উদযাপন করুন। যাতে এই উদযাপন কোনভাবেই নতুন করে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ না হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা ঈদ উদযাপন করবো, তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে। কোনভাবেই এই ঈদ উদযাপন যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির উপলক্ষ হয়ে না উঠে, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস সম্পর্কে বলেন, মানুষের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ায়। কাজেই, জনসমাগম এড়াতে না পারলে এ রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, এ কারণে কষ্ট হবে জেনেও আমরা বাধ্য হয়েছি মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে। দোকান-পাট, শপিংমলসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু রাখতে হচ্ছে। একই কারণে, গণপরিবহন চলাচলের উপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা জনগণের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, আপনারা আবেগের বশবর্তী হয়ে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে যাবেন না। অনেকের কোন বাহ্যিক লক্ষণ না থাকায় আপনি বুঝতে পারবেন না আপনার পাশের ব্যক্তিটিই করোনাভাইরাস বহন করছে। এরফলে আপনি যেমন করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়বেন, তেমনি আপনার নিকটাত্মীয় বা পাড়াপ্রতিবেশীকে ঝুঁকির মুখে ফেলবেন।

তিনি বলেন, মনে রাখবেন, সবার উপরে মানুষের জীবন। বেঁচে থাকলে আসছে বছর আবার আমরা আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, আসুন, আমরা সবাই যে যেখানে আছি সেখান থেকেই ঈদের আনন্দ উপভোগ করি। বিত্তবান যারা আছেন বা যাদের সামর্থ্য আছে, তাদের প্রতি অনুরোধ, এই দুঃসময়ে আপনার দরিদ্র প্রতিবেশী, গ্রামবাসী বা এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়ান। তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনার সাহায্য হয়তো একটি পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাবে। দেখবেন, তাদের হাসিমুখ আপনার হৃদয়মনকেও পরিপূর্ণ করে তুলবে ঈদের আনন্দে। মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই সবচেয়ে বড় কর্তব্য। আমরা যেন এই কর্তব্যকর্ম ভুলে না যাই।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন