আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

দিনশেষে জয়ের কথা ভাবতেই পারে টাইগাররা

অবিশ্বাস্য কিছু না হলে জয়ের পথেই রয়েছে বাংলাদেশ। তারপরও যদি কিন্তুর কথা থেকেই যায়। কারণ এর আগেও এই মাঠে ৩০০ এর উপর রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। সেটি ২০০৮ সালে করেছিল নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের দেয়া ৩১৭ রান মাত্র ৩ উইকেটেই টপকে যায় তারা।

চতুর্থ দিনে পাহাড়সম লক্ষ্যমাত্রা টপকানোর লক্ষে ব্যাটিংয়ে নামে সফররত উইন্ডিজ। এমন সমীকরণের ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজের বোলিং তোপে পড়েছে ক্যারিবীয়রা। দলীয় ৩৯ রানে জন ক্যাম্পবেলকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। এর ৯ রান পর দলীয় ৪৮ রানে আগের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে লেগ শর্টে ইয়াসির আলী দুর্দান্ত ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মিরাজ। দলীয় ৫৯ রানের মাথায় মুসেলেকে এলবির ফাঁদে ফেলে মিরাজ দিনের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান।

দিন শেষে উইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১০ রান। বুর্নার ১৫ রানে ও মায়ার্স ৩৭ রানে ক্রিজে রয়েছেন। জিততে হলে ক্যারিবীয়দের আরো প্রয়োজন ২৮৫ রান। বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭ উইকেট।

এর আগে চতুর্থ দিনের শুরুতে দলীয় ৭৩ রানের মাথায় আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিককে ব্যক্তিগত ১৮ রানে এলবির ফাঁদে ফেলেন কর্ণওয়াল। এটি ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে কর্ণওয়ালের ৩য় উইকেট। এরপর পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক মুমিনুল হক-লিঠন দাসকে সঙ্গে নিয়ে করে ১৩৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এর মধ্যে লিটন দাস টেস্ট ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ অর্ধশত তুলে নেন। দলীয় ২০৬ রানের সময় ওয়ারিক্যানের বলে পয়েন্টে মায়ার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। তার আগে অবশ্য ১১২ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৬৯ রানের একটি ইনিংস খেলেন। 

লিটনের বিদায়ের পর আর মাত্র ৮ রানই ক্রিজে টিকে ছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল ইসলাম। গ্যাব্রিয়েলকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে কেমার রোচের হাতে ধরা পড়েন অধিনায়ক মুমিনুল। অবশ্য তার আগে তিনি ১৮২ বল খেলে ১০ চারের সাহায্যে ১১৫ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস উপহার দেন। এটি ছিল টেস্ট ক্যারিয়ারে তার ১০ম সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামের মাঠে ৭তম সেঞ্চুরি এবং বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন তিনি।

মুমিনুলের বিদায়ের পর দলীয় ২২২ রানে তাইজুলকে বোল্ড করেন ওয়ারিক্যান। এক রান পরেই দলীয় ২২৩ রানে আগের ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী হাসান মিরাজকেও বোল্ড করে ফেরান ওয়ারিক্যান। মিরাজের বিদায়ের সাথে সাথে মুমিনুল ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করলে ক্যারিবীয়দের সামনে লক্ষ্যমাত্র দাঁড়ায় ৩৯৫ রানের। হাতে এখনো পুরো একদিন রয়েছেন।

ক্যারিবীয়দের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন কর্ণওয়াল ও ওয়ারিক্যান। বাকি ২টি উইকেট নিয়েছেন গ্যাব্রিয়েল।

এর আগে তৃতীয় দিনে তাইজুল, নাইম ও মিরাজের ঘূর্ণিতে পুরোপুরি কুপোকাত হয় ক্যারিবীয়রা। স্কোরবোর্ডে ২৫৯ রান সংগ্রহ করতেই অলআউট হয় তারা। এরপরই বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে চেপে ধরেন ক্যারিবীয়দের দীর্ঘদেহি ক্রিকেটার রাহকিম কর্ণওয়াল। প্রথম ওভারেই তামিম ও শান্তকে কোন রান করতে না দিয়েই ফেরত পাঠান তিনি। 

তৃতীয় দিনের ৬ ওভার বাকি থাকতে গ্যাব্রিলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আগের ইনিংসে অর্ধশত রান করা সাদমান ইসলাম।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন