আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আজ থেকে ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ

মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে ২৩ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত মোট ৬৫দিন বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরণের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা-৩ এর উপধারা-২ এর ক্ষমতাবলে গেলো ১৩ এপ্রিল এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মৎস্য অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করেছে এবং বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে তিনটি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করেছে।

স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট,পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে জেলেদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

গেলো মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এবছর মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বরিশাল, ভোলা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ সভায় অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে তাদের স্ব স্ব জেলার পূর্ব প্রস্তুতি তুলে ধরেন।

এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে এ বছর দেশের উপকূলীয় ১৪টি জেলার ৬৬টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫টি জেলে পরিবারকে ১৬ হাজার ৭২১.৩২ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সমুদ্রে কোন প্রকার নৌযান দিয়ে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌ পুলিশ এবং বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত সচেতনাতামূলক বিশেষ বার্তা টিভি স্ক্রলে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন