আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আল-আকসায় ফিলিস্তিনের আনন্দ উদযাপনে ইসরায়েলি হামলা

গাজায় অস্ত্রবিরতি হলেও আল-আকসা মসজিদে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। 

আজ শুক্রবার (২১ মে) জুমার নামাজের পর এ হামলা চালানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নামাজের পর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি উদযাপনে আল-আকসা প্রাঙ্গণে অবস্থান করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। তারা গান গেয়ে স্লোগান দিয়ে আনন্দে মেতে ছিলেন।

জেরুজালেম থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক ইমরান খান বলেন, ফিলিস্তিনিরা যখন উদযাপনের আনন্দে ডুবে ছিলেন, তখন ইসরায়েলি পুলিশ এসে স্টান গ্রেনেড, স্মোক বোমা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে থাকে।

এদিকে যুদ্ধবিরতি হলেও ফিলিস্তিনিদের বসতি ও আল-আকসা রক্ষায় লড়াইয়ে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

আন্দোলনটির রাজনৈতিক শাখার নেতা ইজ্জাত আল-রাসিখ বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় বোমা হামলায় ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

কাতারের দোহায় বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও  বলেন, যুদ্ধ বন্ধ হলেও আমাদের হাত বন্দুকের নলেই রয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ববাসীর জেনে রাখা উচিত যে, আমরা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আমরা প্রতিরোধের সক্ষমতা নিয়মিতভাবে বাড়াতে থাকবো।

এ সময় আল-আকসা মসজিদের সুরক্ষা ও পূর্ব জেরুজালেমে বসতি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন এই হামাস নেতা। এটিকে রেড লাইন হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

রাসিখ দাবি বরেন, এই লড়াই থেকে যে ফল এসেছে, তা আগেরগুলোর সঙ্গে মিলবে না। কারণ ফিলিস্তিনি জনগণ প্রতিরোধে সমর্থন দিয়েছেন। তারা জানেন, তাদের ভূখণ্ড দখলদারদের কাছ থেকে মুক্ত করতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। এই প্রতিরোধই পারে পবিত্র ভূমিকে সুরক্ষা দিতে।

গত ১১ দিনের লড়াইয়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া হাজার হাজার লোক গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন