আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

শাস্তির মুখে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

চলমান করোনা মহামারির মধ্যে বিধিনিষেধ না মেনে বেকায়দায় পড়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। শুক্রবার মারানহাও প্রদেশে করোনা বিধিনিষেধ অমান্য করে জনসভা আয়োজন ও অংশ নেন তিনি। এর শাস্তি হিসেবে প্রেসিডেন্ট বলসোনারোকে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মারানহাও প্রশাসন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ব্রাজিলের মারানহাও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গেল শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ওই প্রদেশে যান প্রেসিডেন্ট বলসোনারো। করোনা মহামারির মধ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিল বহু মানুষ। তবে কারও মুখেই মাস্ক ছিল না। এমনকি বজায় রাখা হয়নি শারীরিক দূরত্বও। সামাজিক দূরত্ব মানা তো দূর মাস্ক পরেননি প্রেসিডেন্ট নিজেও।

ব্রাজিলে করোনা মহামারি ভয়াবহ রূপ নেওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা হয় মারানহাও প্রদেশে। প্রদেশটিতে ১০০ জনের বেশি মানুষের একসঙ্গে জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একইসঙ্গে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরাও।

তবে সেখানেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একটি নিয়মও মানেননি বলসোনারো। বরং প্রাদেশিক গর্ভনর ডিনোকে একনায়ক বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এমনকি গায়ের জোরে গভর্নর স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছেন বলেও দাবি করেন প্রেসিডেন্ট।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। আক্রান্ত, মৃত্যুর পাশাপাশি মহামারিতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ব্রাজিলের নাম ওপরের দিকে। বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশটি। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ব্রাজিল।

তবে এতো কিছুর পর বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেমে নেই ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর। দেশবাসীকে করোনা থেকে মুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার চেয়ে উল্টো সিদ্ধান্তই বেশি নিয়েছেন তিনি। করোনা বিধিনিষেধ কার্যকর করা নিয়েও নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। এমনকি করোনা টিকার প্রতিও অনীহা জানিয়েছেন তিনি। পরে অবশ্য নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবুও বিধিনিষেধ মেনে চলার কোনো গুরুত্বই দেখছেন না তিনি।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গেল ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে করোনায় মারা গেছে এক হাজার ৭৬৪ জন। মহামারি শুরুর পর দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি। মারা গেছে চার লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন