আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ফাইজারের টিকা দিচ্ছে ইউরোপ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য প্রথমবার কোনো টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ইএমএ)। শুক্রবার ইউরোপের শিশু-কিশোরদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি বলেছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকা ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু ও কিশোরদের জন্য ভালো সহনশীল এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির বড় কোনো আশঙ্কা নেই।

আমস্টারডামভিত্তিক সংস্থা ইএমএ’র স্বাস্থ্য হুমকি ও টিকা বিষয়ক কৌশলের প্রধান মারকো কাভালেরি জানান, চলমান করোনা মহামারি মোকাবিলায় কমবয়সীদের নিরাপদ ও কার্যকর টিকার আওতায় আনতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এর আগে শুক্রবারই শিশু-কিশোরদের জন্য ইএমএ ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকার অনুমোদন দিতে পারে বলে জানানো হয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে। ইইউ’তে ১৬ ও এর বেশি বয়সীদের জন্য আগে থেকেই অনুমোদিত রয়েছে এই করোনা টিকা।

এদিকে, আগামী ৭ জুন থেকে শিশুদের করোনা টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। জার্মানির আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর গেল বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল। করোনা প্রতিরোধে ১২ বছর ও তদুর্ধ্ব শিশু-কিশোরদের এই টিকা দেওয়া হবে।

তবে টিকা নিতে শিশুদের বাধ্য বা জোর করা হবে না জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর। মেরকেল বলেছেন, টিকা নেওয়ার ফলে স্কুলে যাওয়া বা না যাওয়া এবং শিশুদের নিয়ে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে না।

মেরকেল বলেন, আগ্রহীদের আগস্ট মাসের মধ্যেই কমপক্ষে প্রথম ডোজটি দিতে হবে। স্কুলে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া হবে।

জার্মান চ্যান্সেলর আরও বলেন, অভিভাবকদের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে, এটা বাধ্যতামূলক কোনো টিকাদান কর্মসূচি নয়। স্কুলে আসার জন্য শিক্ষার্থীদের টিকা নিতে বলবে না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া টিকা নেওয়া শিশুদের নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার চিন্তা করা পুরোপুরি ভুল ধারণা।

করোনা মহামারি মোকাবিলায় হার্ড ইমিউনিটির জন্য শিশুদের টিকার আওতায় আনা গুরুত্বপূর্ণ। ইতোমধ্যে ১২ ও এর বেশি বয়সী শিশু ও কিশোরদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন