চাচিকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন ভাতিজা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় জয়ন্তি রানী রবিদাসকে (৪৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে জহর রবিদাস নামে এক যুবক। হত্যার পর ঘাতক নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
নিহত জয়ন্তি রানী রবিদাস সম্পর্কে জহর রবিদাসের আপন চাচি হয়।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার চেচুয়া কুড়িপাড়া গ্রামের ঋষিপাড়া এলাকায় খুনের ঘটনা ঘটে। মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চেচুয়া কুড়িপাড়া গ্রামের ঋষিপাড়ার ক্ষুদিরাম রবিদাস ও কালুয়া রবী দাস দুই ভাই একই বাড়িতে বসবাস করতেন। সম্প্রতি, কালুয়া রবি দাসের স্ত্রী জয়ন্তি রানী রবিদাসের সঙ্গে তার বড় জা ক্ষুদিরাম রবিদাসের স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনাও ঘটে। পরে স্থানীয়রা সালিশ করে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবে, সালিশের সময় ক্ষুদিরাম রবি দাসের ছেলে জহর রবিদাস ঢাকায় ছিলেন।
খবর পেয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় জহর রবিদাস ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে মা’কে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পারেন। এতে জহর রবিদাস ক্ষুব্ধ হয়ে ধারালো চাকু নিয়ে চাচিকে ছুরিকাঘাত করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা চাচি জয়ন্তি রানীরবিদাসকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে জয়ন্তি রানী মারা যান।
ওসি মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মাঝে আরও কোনো ঘটনা আছে কিনা জানতে জহর রবিদাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।