সাবেক কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে সিইসি
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। সহিংসতা ও অনিয়মে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে এ বৈঠক।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে বেলা ১১টায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে সাবেক তিন সিইসি আব্দুর রউফ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ এবং তিন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানমসহ ১৩ জন অংশ নিয়েছেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক ইসি সচিব মোহাম্মদ সাদিক, মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সিরাজুল ইসলাম, হেলাল উদ্দীন আহমেদ এবং ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী ও মোখলেছুর রহমান।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান, মো. আলমগীর উপস্থিত রয়েছেন। অন্য নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবির বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন।
দায়িত্ব নেয়ার পর বর্তমান কমিশন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের একাধিক নির্বাচন করেছে।
গেলো ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার পর ভোট বন্ধের ঘোষণা দেয় ইসি। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের সাবেক সহকর্মীদের মতামত নিতে চায় নতুন কমিশন।
সাবেক সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া গেলো ২৩ জুলাই মারা যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। সেই শূন্য আসনে গেলো ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণে নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করার পর ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ওইদিন দুপুরে ভোট বন্ধের ঘোষণা দিয়ে সিইসি বলেন, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রদত্ত ক্ষমতা বলে এ ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা করেছে কমিশন।
সিইসি জানান, নির্বাচন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ভোটে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।