আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান: ইউএনএইচসিআর

ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশের পাশে থাকার আহ্বান ইউএনএইচসিআর। রোহিঙ্গাদের মেধার অপচয় না করতে পরামর্শ। কক্সবাজারের সঙ্গে তুলনা করলে জীবনযাত্রার দিক থেকে ভাসান চরের প্রকল্পটি বেশ ভালো মনে করছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা। রোহিঙ্গারা যাতে ভাসানচরে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বাংলাদেশকে সহায়তা করা উচিত।
বুধবার (২জুন) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনার পর জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার রাউফ মাজাও এ মন্তব্য করেন। 
চার দিনের সফরে রাউফ মাজাও এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সুরক্ষা বিষয়ক সহকারী হাইকমিশনার গিলিয়ান ট্রিগস গেল রোববার বাংলাদেশে আসেন। সফরের দ্বিতীয় দিনে সোমবার তারা ভাসানচর পরিদর্শনে যান। 
ভাসানচর নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রাউফ মাজাও জানান, বাংলাদেশ সরকার সেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ করেছে। জীবনযাত্রার সঙ্গে কক্সবাজারের সঙ্গে তুলনা করে বলা যায়, ভাসানচরের অবস্থা অনেক ভালো। বিশেষ করে আবাসনের যে ব্যবস্থা সরকার সেখানে করেছে। সেখানে  তারা যেন মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে এটা নিশ্চিত করতে এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়া। 
শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জীবিকাসহ তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো ব্যবস্থা যাতে নিশ্চিত করা যায় এটা মাথায় রাখতে হবে। সেখানে খালি জমি আছে, মাছ ধরার সুযোগ আছে। তারা যেন বসে না থাকে। আমরা জানি অলস বসে থাকলে মেধার অপচয় হয়। সেখানকার সুযোগ তাদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন তিনি।  সেখানে থাকা  ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সহায়তা কারার কথা জানান রউফ।   
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কিংবা তৃতীয় দেশে অর্ন্তভুক্তিকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান  পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বলেন, চূড়ান্ত সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গাদের আদি নিবাসে ফিরে যাওয়া। চার বছর হলেও যেতে পারেনি।  কি করবে বেচারারা!। বাচ্চা কাচ্চা আছে, কোন শিক্ষা নেই কোন ভবিষ্যত নেই। 
মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সঙ্গে জাতিসংঘের আলোচনা করা উচিত মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে মিলিটারি সরকার আসছে, এই সময় একটা সুযোগ হয়েছে। কারণ মিলিটারি সরকার শুনবে। তাই তাদের (জাতিসংঘের কর্মকর্তা) আপনারা ওদের ওপর অধিকতর চাপ দেন। এই সময় ওরা কথা শুনবে। রোহিঙ্গাদের যাওয়ার একটা পথ হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন