ভাইকে গাছে বেঁধে বোনকে ধর্ষণ
গাজীপুর মহানগর সদর থানার দক্ষিণ সালনার বাতানিয়া টেক এলাকায় চাকরির সন্ধানে এসে এক কিশোরী (১৬) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় দুই যুবককে আটক করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন মাড়িয়ালী এলাকার মৃত আজাহার উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২২) ও বারবৈকা এলাকার তোফায়েল আহমেদের ছেলে মনির হোসেন (২৮)।
গেলো শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুরের বাতানিয়া টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা শুক্রবার দিবাগত রাতে বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন।
ভুক্তভোগী জানান, তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায়। সে গাজীপুরের টেকনগপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করে। আরেকটি কারখানায় চাকরির বিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার সকালে ছোট ভাইকে নিয়ে টেকনগপাড়া এলাকার এক বান্ধবীর বাসায় যায়। দুপুর ১২টার দিকে সেখান থেকে বাসায় ফিরছিলো তারা। এ সময় ৪ থেকে ৫ যুবক রাস্তা থেকে টেনে-হিঁচড়ে দক্ষিণ সালানার বাতানিয়া টেকের জঙ্গলে নিয়ে যায়। এরপর তার ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণ করে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর আহমেদ জানান, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনি নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় এক কিশোরী দৌড়ে এসে তার ঘরে আশ্রয় নেন। তিনি তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে ডেকে এনে ওই কিশোরীকে দৌড়ে আসার কারণ জিজ্ঞাসা করলে সে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলে। সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিলর ও তার ছোট ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে চার যুবককে দেখতে পায়। পরে তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে জসিম ও মনির নামে দুই যুবককে আটক করলেও নাসিম ও জাহেদুল পালিয়ে যায়। পরে পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই কিশোরীসহ আটক দুইজনকে থানায় নিয়ে যান।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, আটকদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ব্যবহৃত চাপাতি ও হাতুড়ি এবং বেঁধে রাখা শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। আটকরা ছিনতাইকারী ও মাদককারবারি দলের সদস্য। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ও আটকদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। পলাতক দুইজনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।