আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

করোনার টিকা খুঁজে হয়রান নেপাল

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকা খুঁজছে করোনায় ধুঁকতে থাকা নেপাল। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও রাশিয়ার কাছে আবেদন করেও ভ্যাকসিন মিলছে না। মিলছে না প্রতিবেশী চীন-ভারতের সহায়তাও। এ পরিস্থিতিতে হতাশা জানিয়েছেন নেপালি প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। তিনি বলেন, মোড়ল দেশগুলো টিকার অতিরিক্ত ডোজ ধরে রাখাতেই সৃষ্টি হয়েছে এই সংকট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, নেপালের দ্য কাঠমুন্ডু পোস্ট জানায়, নেপালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গড়ে প্রতিদিন এক শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছে পাঁচ হাজারের ওপর।

২০২০ সালের পুরোটাই ভালো থাকলেও এখন ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে নাকাল হিমালয়ের পাদদেশের ছোট্ট দেশটি। পর্যটন নির্ভর দেশটিতে চিকিৎসক ও সরঞ্জাম সংকট প্রকট। জনসংখ্যা অনুপাতে চিকিৎসকও নেই। তার থেকেও এখন টিকার সংকট বেশি।

কয়েক ডোজ টিকার জন্য উৎপাদক দেশগুলোর কাছে আবেদন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে ভ্যাকসিন সরবরাহে সহযোগিতা চেয়েছেন নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি। গেল রোববার এক চিঠিতে টিকার জন্য আকুল আবেদন জানান তিনি।

এর আগে বিদ্যা দেবী টেলিফোনে কথা বলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। আলাদা চিঠিতে সাহায্য চান ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে। আবেদন জারি রেখেছে ব্রিটেন, রাশিয়ার কাছেও। তবে কিছুতেই কোনো কাজ হচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছে, রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও কূটনীতির মারপ্যাঁচে খাঁদে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি। জাতিসংঘের উদ্যোগে কোভ্যাক্স থেকে টিকার ২০ লাখ ডোজ পাবে হিমালয়কন্যা। এছাড়া চীনের আগে আট লাখের মতো ডোজ দিয়েছে। আরও কিছু ডোজ যোগাড় করে নাগরিকদের টিকা দিয়েছে দেশটি। তবে তা পূর্ণবয়স্ক দুই কোটি জনসংখ্যার জন্য খুবই ব্যয়বহুল।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন