আর্কাইভ থেকে আবহাওয়া

২৫ লাখ মানুষের জন্য ৭০৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় উপকূলীয় জেলাগুলোর ৭ হাজার ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে ২৫ লাখ মানুষ ঠাঁই নিতে পারবে। জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেন, সিত্রাংয়ের যে বিস্তার, তাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৩ জেলায় এ ঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজন সরিয়ে আনা হচ্ছে। সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড একসঙ্গে কাজ করছে। ১৫ জেলায় ২৫ লাখ লোককে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। প্রতিটি জেলায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শেল্টারগুলোতে শুকনো ও রান্না খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৩টি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং ফেনীতে সিত্রাং মারাত্মক আঘাত হানবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলো বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দীপ এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ আছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ ঝড়ের অগ্রভাগ উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে সোমবার সন্ধ্যায়, আর মধ্যরাতে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল পাড়ি দেওয়া শুরু করবে। তখন বাতাসের গতি থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার।

আবহাওয়া অফিস সোমবার সকাল থেকেই মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলের আরও কাছে চলে এসেছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় পায়রা বন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন