বিকেলে বিদায় নেবে 'সিত্রাং'
ঘূর্ণিঝড় 'সিত্রাং' সুস্পষ্টভাবে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। দুই দিনের মধ্যে কমে আসবে বৃষ্টি। বিকেলের পর দেশে সিত্রাং এর প্রভাব থাকবে না। জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ভোলার কাছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানে। মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বাতাসের গতিবেগ ছিল সবচেয়ে বেশি-ঘণ্টায় ৭৪ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। সিত্রাংয়ে এ পর্যন্ত মোট ১১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন উপকূল ও নিম্নাঞ্চলের লাখো মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে সেগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মঙ্গলবারের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ১৫ জেলায় ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। জেলাগুলো হলো কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বরিশাল।