ত্বকের সুস্থতায় ফলের খোসা!
রাসায়নিক উপাদানে তৈরি জিনিস দিয়ে ত্বকের যত্ন না নিয়ে ত্বকের সুস্থতায় ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক উপাদানে। ফলের গুনাগুণ প্রায় সকলেই জানেন। ফল খাওয়া হয়ে গেলে ফলের খোসা আমরা ছাড়িয়ে ফেলে দিই, কিন্তু জানেন কি এই ফলের খোসার ভিতরেই রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। ফলের খোসায় থাকা পুষ্টি উপাদানসমূহ ত্বকের জন্য কতটা উপকারী, তা অনেকেরই অজানা। জেনে নেয়া যাক ত্বকের সমস্যা সমাধানে কোন কোন ফলের খোসা ব্যবহার করা যায়- বেদানার প্যাক- বেদানার খোসার ফেসপ্যাক তৈরি করতে প্রথমে খোসা শুকিয়ে গুঁড়া করে নিতে হবে। এবার বেদানার খোসা থেকে তৈরি পাউডারে লেবুর রস ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। এর পাশাপাশি মুখের বলিরেখা থেকেও মুক্তি পাবেন। নিতে পারেন কলার খোসার সাহায্য- ত্বকের যত্নে কলার খোসা ব্যবহার করতে হলে খোসা মুখে ঘষে আধ ঘণ্টা পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং আয়রন রয়েছে। এ অবস্থায় কলার খোসার সাহায্যে ব্রণ এবং মুখের জ্বালাপোড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং মুখে উজ্জ্বলতা আনতে পারেন। কমলার খোসার ফেসপ্যাক- কমলা লেবুর খোসার ফেসপ্যাক তৈরি করতে খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এবার কমলা লেবুর খোসা থেকে তৈরি পাউডারে দই ও চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ব্রণ দূর করে মুখের উজ্জ্বলতা আনতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আপেলের খোসা দিয়ে স্ক্রাব করুন- আপেলের খোসা দিয়ে মুখ স্ক্রাব করার জন্য আপেলের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার এই খোসাগুলো হালকা হাতে মুখে ঘষুন এবং কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে ত্বকের মৃত কোষ দূর হবে এবং আপনার মুখ স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল হতে শুরু করবে। পেঁপের খোসার ফেসপ্যাক- পেঁপের খোসার ফেসপ্যাক তৈরি করতে খোসার পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপের খোসায় থাকা অ্যান্টি-এজিং উপাদান মুখের বলিরেখা, ফাইন লাইন এবং ডার্ক সার্কেল দূর করতে সহায়ক।