আর্কাইভ থেকে আওয়ামী লীগ

কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতৃবৃন্দের যোগদান আশাব্যঞ্জক: তথ্যমন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে বিশ্ব রক্ষায় উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি, আন্তদেশীয় প্রাযুক্তিক সহযোগিতাসহ নানা ক্ষেত্রে তেমন অগ্রগতি না হওয়ার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি এবার কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতৃবৃন্দের যোগদান আশাব্যঞ্জক। বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে মিশরের শারম আল শাইখ শহরে এক সেশনে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ বছরের সম্মেলনে পৃথিবীর বহু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানরা অংশগ্রহণ করছেন, যেটি প্যারিসে, কোপেনহেগেনে হয়েছিল, কিন্তু গেলো কয়েকটি কপে হয়নি। এটি আশার কথা। কারণ, রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানরা যখন অংশ নেন তখন গ্লোবাল কমিউনিটি বা বিশ্বসমাজ, পরিবেশকর্মী এবং বাংলাদেশের মতো হার্ড-ভিক্টিম বা সর্বাধিক ভুক্তভোগীদের কথা তাদের কানে যায়। ফলে গ্লোবাল রেসপন্স ডেলিভার করার বৈশ্বিক দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে একটা নতুন মোমেন্টাম বা গতি সঞ্চারিত হয়। এটি ভালো দিক।

একই সঙ্গে পরিবেশবিজ্ঞানের শিক্ষক ড. হাছান বলেন, প্রতিটি কপ সম্মেলন থেকে অনেক আশা নিয়ে প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশে ফিরে যায়। যে আশার বাণীগুলো শোনানো হয়, সে অনুযায়ী পরবর্তী বছরে যে কাজগুলো হওয়ার কথা, সেগুলো যথাযথভাবে হয় না। এর সঙ্গে নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হয়েছে, যেটি হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এখন ফোকাসটা অন্যদিকে চলে গেছে, অর্থনীতি একটা টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।

হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশের অন্যতম দাবি ছিল টেকনোলজি ট্রান্সফার। অর্থাৎ যে সব দেশে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি নেই, সে সব দেশে প্রযুক্তি সরবরাহ করা। এ বিষয়েও তেমন অগ্রগতি নেই।

এর আগে, সোমবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা থেকে শারম আল শাইখে এসে পৌঁছান তথ্যমন্ত্রী। মূল সম্মেলনের পাশাপাশি ১০ ও ১১ নভেম্বর সেখানে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে যথাক্রমে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ওয়াটার এইড সংস্থা আয়োজিত দুটি সেমিনারে যোগ দেবেন ড. হাছান মাহমুদ।

উল্লেখ্য, মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি ৬ নভেম্বর উদ্বোধনী সাধারণ অধিবেশনে কপ২৭ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ২১ এ ১৯৬টি পার্টি স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় করণীয়গুলো কার্যকর করাসহ বিশ্বকে পরিবেশ বিপর্যয় থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে অন্তত ১২০টি দেশের শীর্ষ নেতারা এ বছর শারম আল শাইখে মিলিত হচ্ছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন