আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ডি কোম্পানির পৃষ্ঠপোষক বাপ্পীসহ ১২ সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার (ভিডিও)

টঙ্গী এলাকায় দুইটি পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হামলার সাথে জড়িত কিশোর গ্যাং ডি কোম্পানিরর পৃষ্ঠপোষক বাপ্পী ওরফে লন্ডন বাপ্পী ও নীরব ওরফে ডন নিরবসহ ১২ জন সক্রিয় সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

আজ রোববার (৬জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওরান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আসামিদের হাজির করে সংবাদ সম্মেলন করে র‌্যাব।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম জানান, শনিবার (৫জুন) রাত সাড়ে এগারোটা থেকে টঙ্গী-উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হরেন- ডি কোম্পানি ও ডেয়ারিং কোম্পানি কিশোর গ্যাং গ্রুপের পৃষ্ঠপোষক মো. রাজিব চৌধুরী বাপ্পী ওরফে লন্ডন বাপ্পী, মো. মইন আহম্মেদ নীরব ওরফে ডন নীরব, মো. তানভীর হোসেন ওরফে ব্যাটারি তানভীর, মো. পারভেজ ওরফে ছোট পারভেজ, মো. তুহিন ওরফে তারকাটা তুহিন, মো. রাজিব আহমেদ নীরব ওরফে টম নীরব, মো. সাইফুল ইসলাম শাওন, মো. বরিউল হাসান, মো. শাকিল ওরফে বাঘা শাকিল, মো. ইয়াসিন আরাফাত ওরফে বিস্কুট ইয়াছিন, মো. মাহফুজুর রহমান ফাহিম, ইয়াছিন মিয়া ওরফে প্রিন্স ইয়াছিন।

তিনি জানান, এসময় তাদের কাছ থেকে ১২ টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৬ হাজার ১৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়। বাপ্পীর আস্তানা থেকে জব্দ করা হয় ২টি বিদেশি পিস্তল, ২টি চাপাতি, ২টি রামদা, ৩টি লোহার রড এবং ১টি ছুরি।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক জানান, গেলো ১ জুন রাতে ডি কোম্পানির কয়েকজন সদস্য গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন আরিচপুর এলাকার ভূঁইয়া পাড়া জামে মসজিদের সামনে মো. তুহিন আহম্মেদ ও তুষার আহম্মেদ নাম দুই ব্যাক্তিকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ভিকটিম মো. তুহিন বাদি হয়ে মামলা করলে বাদির বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাটে ব্যাপক ভাংচুর চালায় কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা।

মো. আব্দুল মোত্তাকিম জানান, ৩ জুন একই গ্রুপের সদস্যরা গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন আরিচপুর এলাকায় একটি দর্জি দোকান ভাংচুর করে। তারা চাপাতি দিয়ে আব্দুল মালেকের ছেলে আরজু মিয়া, সুজন মিয়া ও সুজনের স্ত্রী রূপালীকে গুরুতর আহত করে। এ সংবাদ পেয়ে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে তাদের গ্রেপ্তার করে।

তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন তারা ডি কোম্পানি এবং ডেয়ারিং কোম্পানির সক্রিয় সদস্য। তারা এলাকায় মাদক সেবন, মাস্তানি, চাঁদাবাজি, স্কুল-কলেজে বুলিং, র‌্যাগিং, ইভটিজিং, ছিনতাই, ডাকাতিতে জড়িত। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও শেয়ারসহ নানা অপকর্মেও জড়িত।

এমএম/

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন.

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন