মিছিল-স্লোগানে মুখর ফরিদপুরের সমাবেশস্থল
ফরিদপুরে এক দিন আগেই মিছিল আর স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে বিএনপির গণসমাবেশস্থল। মিছিল, স্লোগান, আড্ডা আর গান-বাজনা করে সময় পার করছেন নেতা-কর্মীরা। কেউ তিন দিন আগে, কেউ দুই দিন আগে, আবার কেউ এক দিন আগেই এসে জড়ো হয়েছেন সমাবেশস্থল ফরিদপুরের কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে।
আজ শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকেন।
শরীয়তপুরের থেকে আসা রাকিব হোসেন বলেন, তিন দিন আগে সমাবেশস্থলে এসেছি। রাতে ঠিকমতো ঘুম হয়নি। এতে কোনো কষ্ট নেই। আমাদের একটিই দাবি- বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি। আমরা চাই দেশের শান্তি আসুক, আমরা শান্তিতে থাকতে চাই।
রাজবাড়ীর মাছপাড়া থেকে আসা শুকুর আলী বলেন, যানবাহন না চলায় হেঁটে আসতে হয়েছে। গতকাল দুপুরে হাঁটা শুরু করি। রাতে এসে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হই। সরকার দলীয় লোকজন আমাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে। এতে ভয় পাই না।
আব্দুল সবুর খান বলেন, আমরা গরিব মানুষ। সরকারের জুলুমে অতিষ্ঠ। তারা আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দেয়। আমরা এ থেকে এখন মুক্তির জন্য এই সমাবেশে এসেছি।
ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের সমন্বয়কারী ও দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, জুমার নামাজের পর থেকেই সমাবেশের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে। এই অবৈধ সরকার আমাদেরকে সমাবেশে আসতে বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তারপরও সমাবেশস্থল এখন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আগামীকালের সমাবেশে লাখো মানুষের সমাগম হবে। ফরিদপুরের মাটিতে লাখো মানুষের সমাবেশের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি হবে।
প্রসঙ্গত, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালের পর শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুরে গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। এটি বিএনপির ষষ্ঠ বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই সমাবেশকে ঘিরে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট ডাকায় ইতোমধ্যে বিভিন্ন উপায়ে সমাবেশস্থল ফরিদপুর কোমরপাড়া আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে জড়ো হয়েছেন নেতা-কর্মীরা। শনিবার দুপুরে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আমলমীর।