আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

করোনায় চাকুরি হারান, এরপর মাশরুম চাষ করে সাবলম্বী আমিনুল (ভিডিও)

করোনা মহামারির কারণে চাকুরি হারান কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীরঝাড় সড়ক কাটা গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম মিলন। চাকুরি হারিয়ে বেকার সময় পার করতে থাকেন তিনি। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরুম চাষ সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। 

এরপর গত নভেম্বরে বগুড়ায় বেসরকারিভাবে মাশরুম চাষের উপর ১৫দিনের প্রশিক্ষণ নেন। ডিসেম্বর মাসেই মাসে প্রায় সোয়া লাখ টাকা খরচ করে একটি ঘর নির্মাণ ও মাশরুমে ৬শ স্পন দিয়ে শুরু করেন মাশরুম উৎপাদনের কার্যক্রম। চলতি বছরের ফেব্রæয়ারিতেই মাশরুমের ফলন পেতে শুরু করেন। প্রথম ফলনেই প্রায় ৮০হাজার টাকার মাশরুম বিক্রি করেছেন আমিনুল ইসলাম। বর্তমানে তার মাশরুমের স্পন রয়েছে প্রায় ১২শটি। একটি স্পন ১৫/২০ দিনের মধ্যেই মাশরুম উৎপাদন শুরু হয় যা ৩মাস পর্যন্ত উৎপাদন করা সম্ভব। 

গেল কয়েক মাসে ঢাকা,সিলেট,বগুড়া,রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গাতে থেকে মাশরুম নিতে আসছে আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে। স্থানীভাবেও প্রতিবেশিসহ বন্ধুরা মাশরুমের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে বেশ মাশরুম বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয়রা মাশরুম খাবার সম্পর্কে তেমনটি অবগত না হলেও আমিনুলের মাশরুম চাষের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন মাশরুমের খাবার এবং এর উপকারিতা। 

সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে কুড়িগ্রামে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মীর্জা মোঃ নাসির উদ্দিন। 

বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে আমিনুল ইসলাম মিলন মাশরুম বাজারজাত করছেন। আমিনুলের সাফল্য দেখে অনেকেই মাশরুম চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জেলার ,কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মঞ্জুরুল হক।

মাশরুম চাষের ফলে দারিদ্রপীড়িত খ্যাত উত্তরের এই জনপদে বেকারত্ব কমবে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভিডি দেখুন...

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন