ক্ষমা চেয়ে ফখরুল সাহেবদের পদ্মা সেতুতে ওঠা উচিত ছিল : তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফরিদপুরের সমাবেশ শেষে লজ্জা-শরম না থাকায় চুপিসারে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এসেছেন। ক্ষমা চেয়ে ফখরুল সাহেবদের পদ্মা সেতুতে ওঠা উচিত ছিল। পদ্মা সেতু নিয়ে তিনি যে অপপ্রচার চালিয়েছেন তার জন্য দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাওয়া প্রয়োজন। বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমাবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে সচিবালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে কত কথা। সোনার মূল্য দিয়ে পণ্যের মূল্য বিবেচনায় নিলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বানাতে যে খরচ হয়েছিল সে সময়, তার অনুপাতে পাঁচ ভাগের এক ভাগ হয়েছে পদ্মা সেতুতে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আজ প্রায় ১৪ বছর ধরে বলে আসছ সরকারের পতন ঘটাবে। বিএনপি পতন না ঘটলে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। প্রত্যেকটা সমাবেশের পর তারা ঘরেই ফিরে যায়। তারা যতই দাবি করছে, আমাদের এতে একটা লাভ হচ্ছে। আমাদের দলের কর্মীরা আরও চাঙ্গা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কর্মীদের একটা গুণ হচ্ছে কেউ যদি খোঁচা দেয় তখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে উজ্জীবিত হয়।
তিনি বলেন, বিএনপির এই আন্দোলন-আন্দোলন ভাবের কারণে আমাদের কর্মীরা উজ্জীবিত হচ্ছে। যুবলীগের যে সমাবেশ হয়েছে সেখানে লাখ লাখ যুবকের সমাবেশ হয়েছে। তাদের মতো এত হাঁকডাক তারা দেয়নি। এটা যুবলীগের সমাবেশ, আওয়ামী লীগের নিজের সমাবেশ না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল পরপর পাঁচবার বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছেন। চারবার এককভাবে, আরেকবার যৌথভাবে। যারা চোর, বিশ্বচোর তারা সবকিছুতেই চুরির গন্ধ খোঁজে। নিজেরা বিশ্বচোর তো সেজন্য সবকিছুতে চুরির গন্ধ খোঁজে। বিএনপি ক্ষমতা থাকা অবস্থায় হাওয়া ভবন বানিয়ে সব ব্যবসার মধ্যে চাঁদাবাজি করেছে। মির্জা ফখরুল একটি কথা বলেছেন এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েকদিন আগে বলেছেন সরকারের পতন হলে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে জাতীয় সরকার হবে। অর্থাৎ হাওয়া ভবনের বিশ্বচোর আবার বাংলাদেশে আসবে এবং উনার নেতৃত্বে ওনারা জাতীয় সরকার গঠন করতে চায়। দেশের মানুষ এটা কখনো মেনে নেবে না।