আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

নির্বাচনে অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে নারী-শিশুসহ আহত ৫০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মামা-ভাগ্নের নির্বাচনে অংশ নেয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নারী-শিশুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বেঙ্গাউতা গ্রামে সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গেলো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাপরতলা ১নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হন মামা জাহের মোল্লা ও ভাগ্নে মোক্তার হোসেন। নির্বাচনে বিজয়ী হন মামা জাহের মোল্লা। এ নিয়ে চাপা ক্ষোভের সঞ্চার হয় উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে। এর পর থেকেই মামা-ভাগ্নের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দুপক্ষে হামলা-পাল্টা হামলা হয়।

বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও কোনো সমঝোতা হয়নি। গেলো এক সপ্তাহ আগে ভাগ্নের পক্ষের একজন কৃষিকাজ করতে গেলে হামলা চালায় মামার লোকজন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। শুক্রবার সকালে ভাগ্নে মোক্তার হোসেনের বাড়িঘরে হামলা চালায় মামা জাহের মোল্লার লোকজন। এ সময় দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

তবে জাহের মোল্লার দাবি, আজ সকালে বিষয়টি সমাধানের জন্য ইউএনওর কাছে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে মোক্তারের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।

মোক্তারের পক্ষের সুলতান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি থানায় লিখিত দরখাস্ত করেছি। কিন্তু জাহের মোল্লা সমাধান করতে চায় না। আজ সকালে জাহের মোল্লার লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।

চাপরতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর ভূঁইয়া জানান, উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাদের অসহযোগিতায় সম্ভব হয়নি। বিষয়টি থানায়ও জানানো হয়েছিল।

নাসিরনগর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, নির্বাচনের ঘটনা কেন্দ্র করে মামা-ভাগ্নের গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের কিছু লোকজন আহত হয়েছেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন