আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

নির্ধারিত সময়ের আগেই বিএনপির গণসমাবেশ শুরু

খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদকে বিলুপ্ত, সরকারকে পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে পবিত্র কোরআন, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠের মাধ্যমে এই সমাবেশ শুরু হয়। পরিবেশন করা হয় বিএনপির দলীয় সংগীত।

এ সময় সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়াসহ অন্য নেতারা।

অন্য বিভাগীয় সমাবেশগুলোর মতো কুমিল্লায়ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মানে ফাঁকা রাখা হয়েছে চেয়ার।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সভাপতিত্ব করবেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দলটির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক হাজি আমিনুর রশীদ ইয়াছিন।

বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক মিয়া বলেন, কুমিল্লায় হবে সর্ববৃহৎ সমাবেশ; যা কুমিল্লার মাটিতে এর আগে কেউ দেখেনি। এ সমাবেশ হবে দেশের সর্ববৃহৎ সমাবেশ। যার প্রমাণ আপনার শুক্রবার দুপুর থেকেই দেখেছেন।

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন আগে থেকেই টাউনহল মাঠে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বাকিরা শনিবার ভোর থেকেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। মাঠে জায়গা না পেয়ে সড়কেও অবস্থান নিয়েছেন অনেকে।

গণসমাবেশ উপলক্ষে টাউন হল এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পোস্টারে সয়লাব হয়ে গেছে। যে যার মতো ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়েছেন। দোকানপাট, ভবন ব্যানারে ছেয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদকে বিলুপ্ত, সরকারকে পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা রংপুরসহ কয়েকটি বিভাগে গণসমাবেশ করেছে দলটি।

এ ছাড়া আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে বিএনপির।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন