আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

রোদে কতক্ষণ থাকলে তৈরি হয় ভিটামিন ডি, জানেন কি!

শরীরে প্রাকৃতিক নিয়মে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সূর্যের আলো প্রয়োজন। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে বসে থাকলেই শরীরে ভিটামিন ডি তৈরি হয় না। রোদে বেশিক্ষণ থাকলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। আবার অনেকেই ভিটামিন ডি তৈরি হবে ভেবে, ঠাঠা রোদে ছাদে গিয়ে বসে থাকেন। কিন্তু তাতে কি খুব একটা লাভ হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি শুধু হাড়ের জন্য জরুরি নয়। রোগ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে এমন অনেক প্রোটিন এবং উৎসেচক তৈরিতেও সাহায্য করে ভিটামিন ডি।

ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড় এবং পেশির ক্ষয়, চুল ঝরে পড়া, হঠাৎ হঠাৎ মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই এই সব লক্ষণ প্রকাশ পেলেও বুঝতে পারেন না যে তা কেন হচ্ছে।

চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের মতে, দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত যে কোনও সময় গায়ে একটু রোদ লাগালেই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি তৈরি হয়ে যায়। তবে, এই সময় যেহেতু রোদের তেজ বেশি থাকে তাই বেশিক্ষণ রোদে থাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু কার দেহে কতটা সূর্যালোক শোষিত হবে তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির চামড়ার রঙের উপর।

পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন বলেন, ‘যাদের ত্বকের রং চাপা, তারা অন্তত পক্ষে আধ ঘণ্টা রোদে থাকুন। যারা তুলনামূলক ভাবে ফর্সা, তাদের ১৫ মিনিটের বেশি সূর্যের আলোতে থাকার প্রয়োজন পড়ে না।’

এ ছাড়াও ত্বকে সরাসরি রোদ না লাগিয়ে হালকা বা সাদা রঙের পোশাক পরে রোদে থাকলে ত্বকের ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘রোদে থাকতে হচ্ছে ভেবে সানস্ক্রিন মেখে বাইরে গেলে কোনও লাভ হবে না। বরং রোদ লাগানোর পর, ফিরে এসে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সানস্ক্রিন মেখে নেয়া যেতে পারে।’

এ ছাড়াও মুখে, হাতে সরাসরি রোদ না লাগিয়ে, মেরুদণ্ডের কাছাকাছি অর্থাৎ পিঠে-ঘাড়ে রোদ লাগানো অনেক বেশি কার্যকর বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন