আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে বিজয় ও ভিএক্স গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।

জানা যায়, এ এফ রহমান হলে ভিএক্স গ্রুপ চিকা মারলে (দেয়াল লিখন) বিজয় গ্রুপ তা মুছে দেয়। এ নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। একপর্যায়ে ভিএক্স গ্রুপের কর্মীরা বিজয় গ্রুপের কর্মীদের বের করে দিয়ে হলে অবস্থান নেন। এ সময় বিজয় গ্রুপের কর্মীরা হলের মাঠে অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ চলে। এ ছাড়া হলের বেশ কয়েকটি কক্ষও ভাঙচুর করা হয়।

পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও হলে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে চবি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জানা গেছে, সংঘর্ষের পর থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তত ২০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, গতকাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ এফ রহমান হলের বিজয়ের চিকার ওপর ভিএক্স গ্রুপ চিকা মেরেছে। আমি এটা গতকাল প্রভোস্টকে জানিয়েছিলাম।

ইলিয়াস আরও বলেন, ‘চবিতে প্রক্টরের ইশারা ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। ওনার ইশারা ছাড়া এ এফ রহমান হলে কেন চিকা মারবে। আজকে চিকা মারকে ইস্যু করেই তারা (ভিএক্স) অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হলে আক্রমণ করে। হল দখলসহ এই সবকিছুর জন্যই প্রক্টর দায়ী। প্রক্টর স্যার চাইছেন ছাত্রলীগের মধ্যে তার একটা গ্রুপ থাকুক। নেতারা ছাত্রলীগ কন্ট্রোল করলে কোনো সমস্যা থাকে না, প্রক্টরই ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণ করছে।’

ভিএক্স গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘হল কারও একার সম্পত্তি না যে কারও চিকা থাকবে, কারওটা থাকবে না। ভিএক্সের কর্মীরা চিকা মেরেছিল, বিজয়ের কর্মীরা সেই চিকা মুছে দিয়েছে। এ জন্য ভিএক্সের কর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংঘর্ষ যাতে বড় না হয়, এ জন্য দুই পক্ষ প্রশাসনসহ কথা বলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থালে আছি।’

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন