আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

কোভিড টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধানে ঝুঁকি বেশি: ফাউসি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সার্বজনীন টিকা কার্যক্রমের দিকে তাকিয়ে পুরো বিশ্ব। তবে টিকার প্রয়োগেও প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। বিশেষ করে দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বেশি হলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এমনটাই বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউসি।

শুক্রবার এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাউসি বলেন, দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেশি হলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে টিকা গ্রহণকারী।

করোনা টিকার সংকট দেখা দেওয়ার পর টিকাদানের গাইডলাইনে কিছু পরিবর্তন এনেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে ড. ফাউসিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জবাবে তিনি বলেন, ফাইজার ও মডার্নার মতো এমআরএনএ টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের আদর্শ ব্যবধান হলো যথাক্রমে তিন ও চার সপ্তাহ। এই দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে দিলে করোনার বিভিন্ন ধরন টিকাগ্রহণকারীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

ড. ফাউসি আরো বলেন, আমরা ব্রিটেনের ক্ষেত্রে দেখেছি দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়েছিল দেশটি। এই সময়ের মধ্যে করোনার বিভিন্ন ধরণের যে কোনোটিতেই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।

ভারতে করোনার টিকার সংকট দেখা দেওয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হয়। যদিও এর আগে দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হলো। এর আগে মার্চে টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ২৮ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, ভালো ফলের আশায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ভারতে শনাক্ত করোনার ডেলটা ধরন নিয়েও কথা বলেন ড. ফাউসি। তিনি বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনই সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে। যেসব দেশে এই ধরন ছড়িয়েছে এ নিয়ে তাদের সচেতন হওয়া উচিত।

ভারতে শনাক্ত ডেলটা ধরন থেকে মানুষের সুরক্ষায় টিকার ওপর জোর দিয়েছেন ড. ফাউসি। কারণ ধরণটি অন্যগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন