আর্কাইভ থেকে জাতীয়

কমিউনিটি সেন্টার বন্ধে মাসে শত কোটি টাকার ক্ষতি

করোনা পরিস্থিতির কারণে বর্তমানে বন্ধ আছে প্রায় চার হাজার কমিউনিটি সেন্টার। এতে প্রতিমাসে লোকসান গুনতে হচ্ছে শত কোটি টাকা। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে কমিউনিটি সেন্টার খোলার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন বলেন, রাজধানীতে সরকারি-বেসরকারি কমিউনিটি সেন্টার ও কনভেনশন সেন্টারের সংখ্যা ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় চারশ।

সারাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় চার হাজার। গড়ে ৫০ জন করে স্থায়ী কর্মচারী ধরলে দেশে প্রায় দুই লাখ মানুষ এ কাজে নিয়োজিত।

তিনি বলেন, বর্তমানে করোনার কারণে সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় চার হাজার প্রতিষ্ঠানের লোকসান হচ্ছে প্রতিমাসে প্রায় শত কোটি টাকা। এর সঙ্গে ডেকোরেটরের ক্ষতির পরিমাণ আরও প্রায় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, কমিউনিটি সেন্টার, ডেকোরেটর, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদের পরিবারে নেমে এসেছে ভযাবহ পরিস্থিতি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই খাতে ২০ লাখের মতো মানুষ জড়িত রয়েছে। করোনার ভয়বহতায় অনুষ্ঠানের আয়োজন না থাকায় জীবিকার অনিশ্চয়তায় রয়েছেন তারা।

জাকির হোসেন বলেন, কমিউনিটি সেন্টারগুলো বন্ধ থাকলে ঘর ভাড়া, ইনকাম ট্যাক্স, হোল্ডিং ট্যাক্স, ভ্যাট, কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ বিল, ওয়াসা বিল, গ্যাস বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি সেন্টার কনভেনশন হল ও ক্যাটারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, চট্টগ্রাম কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি হাজি মো. সাহাব উদ্দিনসহ আর অনেকে।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন