আর্কাইভ থেকে জাতীয়

বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েছে পুলিশের একটি দল। সেখানে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া চারটার দিকে পুলিশের একটি দল বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয়।

এর আগে বেলা ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ শুরুর আগে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন। পুলিশও সেখানে সতর্ক অবস্থানে ছিলো। প্রস্তুত ছিল প্রিজন ভ্যান ও জলকামানও।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মকবুল নামে এক ব্যক্তির নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

আগামী ১০ ডিসেম্বর (শনিবার) বিএনপির সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পল্টন এলাকা। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির কয়েকশ’ নেতাকর্মী নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় পুলিশকে সতর্ক অবস্থানে দেখা যায়। এরইমধ্যে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

সকাল থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। একপর্যায়ে জমায়েত বড় হয়ে রাস্তার এক পাশ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনার পর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের এ গুলিচালানো সম্পূর্ণ পরিকল্পিত।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল জোনের ডিসি হায়াতুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সমাবেশের স্থান নিয়ে যখন আলোচনা চলছে তখন এই সংঘর্ষ শুরু হলো। আজ পল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভিড় করতে শুরু করে। একপর্যায়ে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরে যেতে বারবার অনুরোধ করে। কিন্তু তারা কথা শোনেনি। একপর্যায়ে তাদের সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে।

১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সামনে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। এ জন্য তারা অনুমতিও চেয়েছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে। এতে অবশ্য বিএনপি রাজি নয়। তারা সোহরাওয়ার্দীর একটি বিকল্প স্থান চায়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন