মানিকগঞ্জে আ.লীগের সম্মেলন আজ
দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। শহর জুড়ে সাজ সাজ রব। পদ প্রত্যাশী নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে (বিজয় মেলা মাঠ) এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। পদ প্রত্যাশী নেতাদের ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো শহর ও রাস্তাঘাট।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন কেউ আসছেন নাকি পুরোনো নেতৃত্ব আবার ফিরে পাব, এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।
সম্মেলনে সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন, গত সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন এবং সহ-সভাপতি ও সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো।
এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদরুল ইসলাম খান বাবলু, যুগ্ম সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন টিপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, তায়েবুর রহমান টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা এবং শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু। সাধারণ সম্পাদক পদই মূল আকর্ষণ বলে মনে করছেন নেতারা। এদের মধ্যে সুলতানুল আজম খান আপেল ও সুদেব সাহা শহরে বড় শোডাউন করেছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাদিকুল ইসলাম সোহা বলেন, এ সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যে কমিটি যোগ্য নেতৃত্ব ও সুদৃঢ় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সামনের সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের ৩টি আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কাজ করবেন এমন জেলা কমিটি প্রত্যাশা করেন তিনি।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান জনি জানান, সম্মেলনে জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে দশ হাজারের অধিক নেতাকর্মী অংশ নিবে। এ লক্ষ্যে ৭টি উপজেলা ও ১টি পৌরসভাসহ মোট ৮টি ইউনিট একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী গতিশীল কমিটি প্রত্যাশা করি। যে কমিটির মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের তান্ডব-নৈরাজ্য শক্তভাবে মোকাবেলা করতে পারবে এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগের পাশে থাকবে যে কমিটি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব কুমার সাহা জানান, ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। সম্মেলনের সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ। ইতোমধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্মরণকালের সবচেয়ে সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এটি। কালকের সম্মেলনে অন্তত লক্ষাধিক লোকের সমাঘম ঘটবে।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা যোগ্য জেলা নেতৃত্ব উপহার দেবেন এটাই প্রত্যাশা করি। এ সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার নেতৃত্বে নতুন মুখ আসবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। আর এ নেতৃত্বের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগ আরও ঐক্যবদ্ধ হবে।