আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

সিলেট নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথম ফাঁসি কার্যকর

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রথমবারের মতো কার্যকর করা হলো মৃত্যুদণ্ড। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) গত রাত ১১টায় এটি সম্পন্ন হয়।
 
২০০৪ সালে স্ত্রী শাহিদা আক্তারকে শাবল ও ছুরি দিয়ে হত্যা করেন সিরাজুল ইসলাম। এতে ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাকে ফাঁসির রায় দেন সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালত। ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর আপিলের রায়েও সাজা বহাল রাখা হয়।

আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর ৩ মাস পর স্বামী সিরাজের ফাঁসি কার্যকর করা হলো। তিনি হবিগঞ্জ জেলার রাজনগর কবরস্থান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। 

কারাগারের নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির মঞ্চে তোলার আগে সিরাজকে গোসল করানো হয়। রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তাকে তওবা পড়ানো হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিকাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারসহ আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।

কারা সূত্র জানায়, সিরাজের ফাঁসি কার্যকরের জন্য ১৪ জুন কাশিমপুর কারাগার থেকে জল্লাদ শাহজাহানকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরী, জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, কাদের মোল্লাসহ কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকর শাহজাহানের হাতেই হয়।

এর আগে সিলেটের পুরাতন কারাগারে সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সদর উপজেলার বাদাঘাটে নতুন কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধনের পর এই প্রথম ফাঁসি কার্যকর করা হলো।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন