অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে পুলিশ ও মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ
রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসনকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আগামী ২৭ ডিসেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী নির্দেশনাটি সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং রংপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, নির্বাচনী এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ন্ত্রণ ও নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করতে হবে।
এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক গৃহীত ওই সিদ্ধান্তগুলোর সংশ্লিষ্টতা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
রসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২৭০ জন। এতে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে ৯ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন— জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
নির্বাচনে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, যা চলবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত কর্পোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।