আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে দুই হাজারের বেশি মৃত্যু

ভারতে মহামারি করোনার পাশাপাশি গেড়ে বসেছে প্রাণঘাতী ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। ইতোমধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে মারা গেছে দুই হাজারের বেশি মানুষ। ব্ল্যাক ছাড়াও ভারতে শনাক্ত হয়েছে গ্রীন, হোয়াইট ও ইয়োলো ফাঙ্গাস।এটি চিকিৎসকদের উদ্বেগে ফেলেছে। এদিকে রাজধানী দিল্লিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের নকল ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগে ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, দেশটিতে কমতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু প্রতিদিনই ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছে করোনা থেকে সেরে উঠতে থাকা রোগীরা। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে। ইতোমধ্যে এই ফাঙ্গাস শনাক্ত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি রোগীর শরীরে।

এদিকে, মধ্যপ্রদেশের পর এবার পাঞ্জাবে এক ব্যক্তির শরীরে গ্রীন ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। করোনা আক্রান্ত ওই লোককে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

এর আগে হোয়াইট ও ইয়োলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। সাধারণত কোভিড থেকে সুস্থ হয়ে উঠা মানুষের শরীরে এসব ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত মৃত্যুর হার করোনার চেয়ে বেশি হওয়ায় চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ভারতের চিকিৎসকরা।

এই অবস্থায় দেশটিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইনজেকশনের চাহিদা কয়েক গুণ বেড়েছে। এর সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

ভারতের এনডিটিভি জানিয়েছে, রোববার রাজধানী নয়াদিল্লিতে এক চিকিৎসকের বাসায় অভিযান চালিয়ে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের তিন হাজার ৩০০ ভায়াল নকল ইনজেকশন উদ্ধার করেছে ভারতীয় পুলিশ। নকল ইনজেকশন বিক্রির অভিযোগে দুই চিকিৎসকসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

নয়াদিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, আটক হওয়া একজন চিকিৎসকের নাম আলতামাস হোসেন। ওই চিকিৎসকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ভায়াল নকল ইনজেকশন জব্দ করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। সেখানে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিছু রেমিডিসিভির ইনজেকশনও ছিলো।

পুলিশের উদ্বৃতি দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, চক্রটি এরই মধ্যে চার শতাধিক ভায়াল বিক্রি করেছে। বাজারে প্রতিটি ইনজেকশনের দাম আড়াইশো রুপি। তবে, বাড়তি চাহিদার কারণে সিন্ডিকেট বানিয়ে একেকটি নকল ইনজেকশন কালোবাজারে বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার রুপিতে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন