আর্কাইভ থেকে দক্ষিণ আমেরিকা

বেজোসকে মহাকাশে রেখে দিতে গণস্বাক্ষর

আগামী ২০ জুলাই মহাকাশ ভ্রমণে যাবেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। মাত্র কয়েক মিনিটের ভ্রমণ শেষে আবার ফিরে আসবেন। তবে পৃথিবীর মানুষ তাকে আর পৃথিবীতে দেখতে চায় না। মহাকাশ ভ্রমণের পর তাকে পৃথিবীতে আর না ফেরানোর জন্য দুটি পিটিশনে ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

মহাকাশ অভিযানবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ব্ল‍ু অরিজিনের মাধ্যমে জেফ ও তার ভাই মার্ক বেজোস মহাকাশ ভ্রমণে যাবেন। গত ৭ জুন মহাকাশ ভ্রমণের ঘোষণা দেয়ার পর চেঞ্জ ডট ওআরজি ওয়েবসাইটে এখন পর্যন্ত দুটি পিটিশন করা হয়েছে। এতে জেফ বেজোসকে পৃথিবীতে আর না ফেরানোর জন্য আবেদন করেছেন পিটিশনের আয়োজনকারীরা। দুটি পিটিশনেই মাত্র ১০ দিনের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

ওয়েবসাইটের একটি পিটিশনের শিরোনাম দেয়া হয়েছে, ‘জেফ বেজোসকে পৃথিবীতে ফিরতে দেবেন না।’ এতে ইতোমধ্যেই ২৩ হাজারের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।

পিটিশনের বর্ণনায় বলা হয়েছে, ‘বিলিয়নিয়ারদের অস্তিত্ব থাকা উচিত নয়, পৃথিবী অথবা মহাকাশেও নয়। তবে তারা যদি দ্বিতীয়টি পছন্দ করেন তাহলে তাদের সেখানেই থাকতে দেয়া হোক।’

কিছু কিছু স্বাক্ষরকারী পিটিশনে স্বাক্ষরের কারণ সম্পর্কেও লিখেছেন। এসব মন্তব্যের মধ্যে রয়েছে- ‘পৃথিবীতে ফিরতে দেয়া একটি অগ্রাধিকার, অধিকার নয়’, এবং ‘পৃথিবী জেফ, বিল (গেটস), ইলন (মাস্ক) এবং অন্যান্য বিলিয়নিয়ারদের চায় না।’

আরেকটি পিটিশন করা হয়েছে, যার নাম দেয়া হয়েছে ‘জেফ বেজোসকে পৃথিবীতে না ফেরানোর জন্য পিটিশন’। এতে স্বাক্ষর করেছেন ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং আরও অনেকে এতে যোগ দিচ্ছেন।

এই পিটিশনের ডাক দেয়া হোসে অর্টিজ লিখেছেন, বেজোস ‘পৃথিবীতে আধিপত্য করতে যাওয়া একজন শয়তান প্রভু’। তিনি আরও লিখেছেন, ‘মানব সম্প্রদায়ের ভাগ আজ আপনাদের হাতে।’

দুটি পিটিশনেরই লক্ষ্য অন্তত ২৫ হাজার করে স্বাক্ষর যোগাড় করা। চেঞ্জ ডট ওআরজি ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এর ফলে পিটিশন দুটি এই ওয়েবসাইটের শীর্ষ দুটি পিটিশনে পরিণত হবে।

জেফ বেজোস, তার ভাই মার্ক বেজোস এবং ব্লু অরিজিনের ২ কোটি ২৮ লাখ ডলারের নিলাম জয়ী এক ব্যক্তি এই মহাকাশ ভ্রমণে যাবেন। ভ্রমণের স্থায়ীত্ব হবে মোট ১১ মিনিট। তারা নিউ শেপার্ড রকেটে একটি ক্যাপসুলের ভেতরে থাকবেন যা রকেটের বুস্টারের ওপর বসানো থাকবে।

রকেটটি যখন কারমান লাইনে পৌঁছাবে (কারমান লাইনকে পৃথিবী থেকে মহাকাশের সীমানা ধরা হয়। এর দূরত্ব পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত) তখন ক্যাপসুলটি বুস্টার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। এটি তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরতে শুরু করবে এবং প্যারাসুটের মাধ্যমে অবতরণ করবে।

৭ জুন ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জেফ বলেছেন, ‘আমি এই ফ্লাইটে যেতে চাই কারণ এটি এমন একটি জিনিস যা সারাজীবন ধরে আমি করতে চেয়েছি। এটি একটি অ্যাডভেঞ্চার, এটি আমার জন্য অনেক বড় কিছু।’

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন