নয়াপল্টনে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি ও দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে এই গণমিছিলে অংশ নিচ্ছেন তারা।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন। অন্যদিকে বিএনপির গণমিছিলকে ঘিরে সর্তক অবস্থান নিয়েছে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। মঞ্চ ঘিরে ছোট-ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আবার অনেক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে আশ-পাশের গলিতে অবস্থান নিতে।
গণমিছিলকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পূর্ব পাশে চায়না টাউনের সামনে জলকামান, প্রিজন ভ্যান, সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আর পশ্চিম পাশে নাইটিঙ্গেল মোড়েও ব্যাপাক সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে বেলা ২টা থেকে বিএনপির এই গণমিছিল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে মগবাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। মিছিলে অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের জন্য ১১টি পয়েন্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে দলটি। আর গণমিছিলের আগে নয়াপল্টনের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
জানা গেছে, মিছিল শেষে রাজবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামী ১১ জানুয়ারি একদিনের কর্মসূচি ঘোষণা আসতে পারে।
এদিকে মিছিল ঘিরে পুলিশের প্রিজন ভ্যান রাখায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা গ্রেপ্তার আতঙ্ক রয়েছে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিএনপির সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, পুলিশ নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে দিতে এই ধরনের অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে গ্রেপ্তার এখন হালকা জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ গেলো ১৫ বছরে বিএনপির এমন নেতাকর্মী খুজেঁ পাওয়া দুষ্কর হবে যিনি একবারের জন্য কারাগারে যাননি। ফলে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যতই ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করুক না কেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শেষ করবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, শুক্রবার আমাদের গণমিছিলের কর্মসূচি। ইতোমধ্যে সরকার তাদের মাস্তানদের পাড়ায়-মহল্লায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা তো কোনো প্রতিরোধের ঘোষণা দেইনি। অতীতে সরকারের উসকানি, অত্যাচার-নির্যাতনের পরও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করেছি আমরা। আগামীতেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব।
তিনি আরও বলেন, একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে নিরস্ত্র জনগণের ফাইট করা কঠিন কাজ। সেটা জেনে-শুনে আমরা রাজপথে নেমেছি।