আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

ফিলিপাইনে হয় করোনার টিকা নয়তো জেল

যেসব নাগরিক করোনার টিকা নিতে চাচ্ছে না তাদের কড়া দাওয়াই দিলেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। সোমবার দেশটিতে অতিমারি টাস্ক ফোর্সের একটি বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের পর এক ভাষণে দেশটিতে যারা টিকা নিতে অস্বীকার করছে তাদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট। তার এই বক্তব্য নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভাষণে দুতের্তে বলেছেন, আপনারা বেছে নিতে পারেন, হয় আপনারা টিকা নেবেন নয়তো আমি আপনাদের জেলে পাঠাবো। এছাড়াও, পাশাপাশি স্থানীয় গ্রামপ্রধানদের টিকা নেওয়া মানুষের তালিকা প্রস্তুত করার আহ্বান জানান তিনি।

ফিলিপিনোদের উদ্দেশে দুতের্তে বলেছেন, যদি টিকা নিতে না চান আপনাদের গ্রেপ্তার করব। তারপর জেলেই ইঞ্জেকশন দেব। এ সময় পশুদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন তিনি।

টিকা নিতে অনাগ্রহী জনগণের উদ্দেশে দুতের্তে বলেন, আপনারা একগুঁয়ে। তাদের কারণে বিরক্ত তিনি। যারা করোনার টিকা নেবে না তাদের শুকরের টিকা দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন ফিলিপিনো প্রেসিডেন্ট।

দুতের্তের এই বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। টিকা না নিলে গ্রেপ্তার করার কোনো আইন ফিলিপিন্সে আদৌ রয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে অনেকে। অনেকে আবার মনে করছে, টিকা নিতে অনিচ্ছুকদের মধ্যে পরিবর্তন আনতেই হয়তো ভয় দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

ফিলিপাইনে গেল মার্চ থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। নাগরিকদের মডার্নার টিকা দিচ্ছে ফিলিপিন্স। তবে দেশটির কিছু কেন্দ্রে টিকা নেওয়ার হার একেবারেই নগণ্য। সম্প্রতি করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের আশঙ্কায় সীমান্ত এলাকাগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ফিলিপাইন।

এর আগে লকডাউন না মানলে গুলি করার হুমকি দিয়েছিলেন দুতের্তে। তার সেই নির্দেশ বাস্তবায়িত হয়েছিল। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় এক বৃদ্ধ ও সাবেক সেনা সদস্য।

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফিলিপাইনে প্রতি ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জন করোনা টিকা নিতে ইচ্ছুক।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন