আর্কাইভ থেকে এশিয়া

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে দুই বন্ধু খুললেন চায়ের দোকান

ভারত জুড়ে অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে 'MBA Chaiwala'। ওই চায়ের দোকানের প্রতিষ্ঠাতা প্রফুল্ল বিল্লোরের নাম অনেকেই জানেন। এবার পশ্চিমবঙ্গে  দুই ইঞ্জিনিয়ার সেই 'MBA Chaiwala' থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে খুললেন চায়ের দোকান। বাঙালি এই দুই ইঞ্জিনিয়ারের চায়ের দোকানের নাম 'B.Tech Cha wala'। দোকানেপ কর্ণধার আলমগীর খান ও রাহুল আলি। কেন এমন চায়ের দোকান খোলার ভাবনা? কী থেকে পেলেন অনুপ্রেরণা?

আলমগীর ২০১৭ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন। ওই বছরই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা কোর্স করেন রাহুল।

চাকরি না পেয়ে শেষমেশ চায়ের দোকান খুললেন দুই ইঞ্জিনিয়ার। রাহুল আলি ও আলমগীর খান৷ দুজনেই বন্ধু, দুজনেই বি’টেক পাশ করে চাকরির চেষ্টায় প্রাণপাত করেন, কিন্তু মেলেনি যোগ্যতা অনুসারে চাকরি। এদিকে বয়সটাও দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে।

চায়ের দোকানের নামেও রয়েছে চমকের ছড়াছাড়ি। সমাজের ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে মেলে ধরতে নিজেদের চায়ের দোকানের নাম রেখেছেন ‘বি.টেক চাওয়ালা’। কারিগরি দক্ষতা ভুলে এখন চায়ের দোকানেই মগ্ন দুই ইঞ্জিনিয়ার।

দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে চা যেমন খেতে পারবেন, ভিতরে বসার ব্যবস্থাও রয়েছে। চা খেতে খেতেই মিলবে আড্ডার সুযোগও। দোকানের ভেতর সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা চোখে পড়বে।

আলমগীর জানিয়েছেন, পড়া শেষে সেভাবে চাকরির সুযোগ না মেলায় চায়ের দোকান খোলার ভাবনা। এক্ষেত্রে এমবিএ চায়েওয়ালা, থেকেই আমাদের অনুপ্রেরণা।

মালদহের ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোডে কানি মোড়ে আপাতত একটি দোকান ভাড়া নিয়ে চায়ের দোকান খুলেছেন তারা। তাদের এই কাহিনী এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

দোকানের এমন নাম নিয়ে তারা জানালেন, কলেজ জীবনে চায়ের দোকানে প্রচুর সময় কাটিয়েছি। আজ ভাগ্যের করুণ পরিণতিতে নিজেদেরই চায়ের দোকান দিতে হয়েছে। তবে কোনও কাজই যে ছোট না তা বোঝাতেই চায়ের দোকানের এমন নামকরণ তাও তারা জানিয়েছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন