ইজতেমায় ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ইজতেমায় এখন পর্যন্ত ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা প্রতিবারই ইজতেমায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিই। এর ধারাবাহিকতার পাশাপাশি এবার সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আমরা যেভাবে বলি সেভাবেই আমাদের পুলিশ বাহিনী কাজ করছে। পুলিশ, র্যাব, আনসার সবাই যুক্ত থাকবে প্রয়োজনে বিজিবিও প্রস্তুত থাকবে। সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করেই আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকবে। সামরিক বাহিনীও ব্রিজ নির্মাণে সহায়তা করছেন। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীতে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ইজতেমা ময়দানে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশি মেহমানরা প্রতিবার যেসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে এবারও তা পাবে। পাশাপাশি এবার তাদের জন্য আরও সেবা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। বিদেশি মেহমানদের জন্য এবার আরও সুন্দর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবেন। দ্বিতীয় দফায় যারা আসবেন তারাও হাজী ক্যাম্পে অবস্থানের সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কোভিডের আগে দুই পক্ষ দুই বার ইজতেমা পরিচালনা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জোবায়ের গ্রুপ প্রথম পর্বে এবং সাদ গ্রুপ দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবে। আগেও তারা ইজতেমা আয়োজন করেছেন। এদের মধ্যে নতুন করে কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির কিছুই নেই। আমাদের আশা তারা সুন্দরভাবে এ আয়োজন শেষ করবেন।’
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল ইসলাম এমপি, জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বের মুরুব্বীসহ সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও তাদের প্রতিনিধিরা বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতির তথ্য তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগপাড়ে প্রথম দফায় আগামী ১৩ থেকে ১৫ জানুয়ারি আর দ্বিতীয় দফায় ২০ থেকে ২২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।