আর্কাইভ থেকে বিএনপি

দুদককে বিএনপি দমন কমিশনে রূপান্তর করেছে সরকার: বিএনপি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের (বাজেয়াপ্ত) আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের এ আদেশ ফরমায়েশি ও প্রতিহিংসা পরায়ণ। দুদককে বিএনপি দমন কমিশনে রূপান্তর করেছে সরকার। বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ  বলেন, ‘আজ এমন এক সময়ে সম্পত্তি ক্রোকের ফরমায়েশি আদেশ দেয়া হলো, যখন তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিপ্লব ও গণ আন্দোলন চলছে।’

তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনের সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে গুলি করে আন্দোলনকারীদের হত্যা করেছে। বাধা, প্রতিবন্ধকতা, গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা, বিপুল দমন-পীড়ন চালিয়েও আন্দোলন নস্যাৎ করতে পারছে না। জনস্রোত ঠেকাতে না পেরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা ও মামলায় রায় দিয়ে নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মনোবল নষ্ট করতে চায়।’

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন যেন আজ বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, যে সকল সম্পত্তির মালিক তারেক রহমান নন, কোনো দলিলে বা চুক্তিতে যেখানে তার নাম, স্বাক্ষর বা সংশ্লিষ্টতা নেই, তাকে সেসব সম্পত্তির গায়েবি মালিক বানিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমনকি তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের কর পরিশোধকৃত সম্পদ নিয়েও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‌‘জনগণকে বিভ্রান্ত ও আন্দোলন দমন করতে বিএনপির বিরুদ্ধে আবারও চক্রান্ত শুরু করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আর এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে দুদক।’

মোশাররফ বলেন, ‘দেশে বিরাজমান সীমাহীন দুর্নীতি দুদকের চোখে পড়ে না। ২০০০ সালে স্বাধীন বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্কের তিলক তৎকালীন আওয়ামী সরকার লাগিয়েছিল। বর্তমানে আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় ও পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের অনুগত ব্যবসায়ী এবং নেতাকর্মীরা দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছে। কিন্তু দুদক তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না।’

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন