আর্কাইভ থেকে অপরাধ

কদমতলীতে ট্রিপল মার্ডার: মুনের পর এবার স্বামীর স্বীকারোক্তি

রাজধানীর কদমতলী থানাধীন মুরাদপুরের হাই স্কুল রোডের একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ছোট মেয়ের লাশ উদ্ধারের মামলায় ওই দম্পতির বড় মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনের পর এবার তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরন্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

শুক্রবার (২৫ জুন) তিন দিনের রিমান্ড শেষে শফিকুলকে আদালতে হাজির করা করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) জাকির হোসাইন। শফিকুল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতে কদমতলী থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. শাহিন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গত ২১ জুন শফিকুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এ মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে মেহজাবিন ইসলাম মুন।

জানা যায়, মেহজাবিনের বাবা মাসুদ রানা ২৬ বছর ধরে সৌদি প্রবাসী ছিলেন। মাঝেমধ্যে তিনি দেশে আসতেন। মাসুদ রানা তার মেয়ে মেহজাবিন ইসলাম মুনকে শফিকুল ইসলাম অরন্যর সঙ্গে বিয়ে দেন। এরপর থেকে মেহজাবিন সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য তার মা মৌসুমি ইসলামকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতেন। সম্পত্তি লিখে না দেওয়ায় মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ছয় মাস আগে থেকে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি এবং মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম মোহনীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

মাসুদ রানা তিন মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। মেহজাবিন ও শফিকুল গত ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাসুদ রানার বাসায় আসেন। রাত ৯টা থেকে বিভিন্ন সময়ে চা-কপি ও পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মাসুদ রানা, মৌসুমি ইসলাম এবং মোহিনীকে তা খাওয়ানো হয়। এতে সবাই অচেতন হলে আসামিরা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে একে একে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে।

এ ঘটনায় মাসুদ রানার বড় ভাই সাখাওয়াত হোসেন মেহজাবিন ও শফিকুলকে আসামি করে কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন