আফগানদেরই ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিতে হবে: বাইডেন
ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত আফগানদের নিজেদের নিতে হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বৈঠকে একথা বলেন তিনি। দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ার দেশটি থেকে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার অব্যাহত রাখার মধ্যেই হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন বাইডেন-গনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৈঠকে বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, সেনা প্রত্যাহার করা হলেও ওয়াশিংটনের সহযোগিতা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বাইরে থেকে আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহায়তাও অব্যাহত রাখবে।
আশরাফ গনিকে বাইডেন আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সঙ্গেই আছে। এটি মূল্যবোধের বিষয়।
এ সময় আফগানিস্তানকে রক্ষা করতে দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র যে রক্ত ও সম্পদ দিয়েছে সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানান আশরাফ গনি।
আফগানিস্তান এখন তালেবানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে মুখোমুখি। আশরাফ গনি এই মুহূর্তে তাঁর অবস্থানকে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের সময়ের সঙ্গে তুলনা করেন। তখন উত্তর ও বিদ্রোহী দক্ষিণের মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
আফগান প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, এটি মূল্যবোধের বিষয়। একটি ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা বা অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থার মূল্যবোধ। আমরা ঐক্য, সংহতি ও ত্যাগের বোধের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমরা কিছুতেই ছাড় দেব না।
শুক্রবার আফগান সরকারের বাহিনী দক্ষিণ ও উত্তরে ছয়টি জেলা তালেবানের কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করেছে বলে জানান গনি।
তিনি যোগ করেন, আমরা সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠব। যদিও এই মতবিরোধগুলো দীর্ঘ হতে পারে।
এর আগে, পেন্টাগনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেন আশরাফ গনি। মার্কিন গোয়েন্দা বিশ্লেষণ অনুযায়ী মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ছয় মাসের মধ্যে তাঁর সরকারের পতন হতে পারে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আফগান প্রেসিডেন্ট বলেন, এ ধরনের অনেক ভবিষ্যদ্বাণী ছিল এবং সেগুলো মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে।
এসএন